আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমের সম্পর্কের ভয়ঙ্কর পরিণতি। ৩৩ বছর বয়সি ইঞ্জিনিয়ারকে নির্মমভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে লিভ ইন সঙ্গী ও তার দুই সন্তানের বিরুদ্ধে। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বিবিডি থানার অন্তর্গত সালারগঞ্জ জেলায় এক বাড়ি থেকে এক ইঞ্জিনিয়ারের নিথর দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারকে নির্মমভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর লিভ ইন সঙ্গীর বিরুদ্ধে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, রবিবার রাতে প্রেমিক যুগলের মধ্যে বচসা হয়েছিল। তুমুল অশান্তির পরেই যুবকের গলা কেটে খুন করে লিভ ইন সঙ্গী। যুবককে খুনের পর সেই ফ্ল্যাটেই সন্তানদের নিয়ে দশ ঘণ্টা চুপচাপ বসেছিল যুবতী। এরপর থানায় খুনের ঘটনাটি জানায়। দুই সন্তান সহ ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে আরও তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করছে তারা। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত যুবকের নাম, সূর্য প্রতাপ সিং। ৩৩ বছর বয়সি ওই যুবক আদতে দেওরিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। শহরেই এই নামী বেসরকারি সংস্থায় এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৪৬ বছর বয়সি রত্না নামের যুবতীর এক সন্তানকে পড়াতে যেতেন তিনি। ক্রমেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 

পরিবারের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও সম্পর্ক অটুট ছিল তাঁদের। এরপর সালারগঞ্জে রত্না, দুই সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন সূর্য। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, যুগলের মধ্যে প্রায়ই বচসা হত। কখনও কখনও চিৎকার, চেঁচামেচির শব্দ বাইরে থেকেও পাওয়া যেত। রবিবার গভীর রাতেও দু'জনের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। এরপরই সূর্যকে তিনজনে মিলে খুন করে। 

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসে লিভ ইন সম্পর্কের জেরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। সম্পর্কের পরিণতিতে একমাত্র পথের কাঁটা সঙ্গীর মেয়ে। তাই রাগের মাথায় লিভ ইন সঙ্গীর পাঁচ বছরের মেয়েকে খুন করল এক যুবক। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে তারা। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার রেওয়ারি জেলায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তের নাম রোশন। সে বিহারের বাসিন্দা। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরেই বিবাহিত যুবতী ও তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন রোশন। যা
বিবাহিত যুবতীর সঙ্গে সে লিভ ইন সম্পর্কে জড়িত ছিল। 

গত বুধবার যুবতী ও তাঁর লিভ ইন সঙ্গীর মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। সেই সময় তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। অশান্তির চোটে যুবতী সোজা রেল স্টেশনে চলে যান। আর যুবক রাগের মাথায় বাড়ি ফিরে যায়। সেই সময় বাড়িতে যুবতীর পাঁচ বছরের মেয়ে ছিল। মাকে দেখতে না পেয়ে শিশুকন্যা কান্নাকাটি শুরু করে। বারবার রোশনকে অনুরোধ করে, তাকে তার মায়ের কাছে যেন নিয়ে যায়। 

একটানা কান্নাকাটির পরেও শিশুকন্যার আবেদনে গুরুত্ব দেয়নি রোশন। কিন্তু রাগের মাথায় তাকে মেঝেতে ফেলে ব্যাপক মারধর করে মেরে ফেলে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুকন্যার। এরপরই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় রোশন। শিশুকন্যার আর্তচিৎকার শুনেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দেখেই পুলিশে খবর দেন সকলে। তড়িঘড়ি করে শিশুকন্যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে কয়েক ঘণ্টা পরেই অভিযুক্ত রোশনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।