আজকাল ওয়েবডেস্ক: একজন ফুলবিক্রেতার মোহময়ী চোখের জাদু কাঁপিয়ে দিয়েছিল কুম্ভমেলাকে। রাতারাতি সেলিব্রেটি করে দিয়েছিল মোনালিসাকে। গোটা প্রয়াগরাজ মনে করেছিল মোনালিসা যেন ঈশ্বরের দান। মিডিয়া থেকে শুরু করে সমস্ত ইউটিউব ভরে গিয়েছে তারই ছবিতে। তবে এরপরই বিপত্তি একদল মানুষের কুনজরের শিকার হয়ে মহাকুম্ভমেলা থেকে বিদায় নিতে হল মোনালিসাকে। 

 


ভিডিও থেকে দেখা গিয়েছে লাল সালোয়ার পরে সকলের থেকে পালানোর চেষ্টা করছেন মোনালিসা। সকলেই তার সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করছে। মোনালিসার পরিবার তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এরপর সবার থেকে দেখা গিয়েছে মোনালিসার মুখ ঢেকে রাখা হয়েছে যাতে তাকে আর কেউ দেখতে না পায়।


এরপর তাকে নিয়ে লেখা হয়, মহাকুম্ভমেলায় ভক্তরা পূণ্য অর্জন করতে এসে নিজেদের বোধবুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছেন। তারা সেখানকার সমস্ত নিয়ম ভুলে গিয়ে একজনের সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টায় রত। তবে এতসবের মধ্যেও নতুন বার্তা দিয়ে গিয়েছে মোনালিসা। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সে লিখেছে, আমি পরিবারের সঙ্গে ইন্দোরে ফেরত যাচ্ছি নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য। তবে যদি সম্ভব হয় তাহলে পরবর্তী কুম্ভমেলায় ফের আমি ফিরে আসব। 

 


একজন এরপর লেখেন, প্রতিটি সেলফির জন্য মোনালিসার উচিত ছিল ১ হাজার টাকা করে নেওয়া। একটি নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া দরকার ছিল। সেখানে লিখে দেওয়া উচিত ছিল তার অনুমতি ছাড়া যেন তার ছবি না তোলা হয়। 


অন্য একজন লিখেছেন, খ্যাতি কখনও ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে। মোনালিসার গল্প সেটাই সামনে নিয়ে এসেছে। শকুনরা তাক চারিদিকে ঘিরে ধরে তাকে খাদ্য করার তালে ছিল। তবে এই ধরণের কাজে নিজের অসুস্থ মানসিকতাই প্রকাশ পায়। 

 


মোনালিসা বাড়ি ফিরে যাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছে প্রশাসনও। তারাও জানিয়েছে এই ধরণের একটি ঘটনা সামনে আসার ফল যে এমন হতে পারে সেটা জানতে পেরে তারাও অবাক। মোনালিসা কুম্ভমেলায় এসে সকলের নজরে পড়ে যায় তার মোহময়ী চোখের জন্য। এরপরই তাকে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় নেটদুনিয়াতে। নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় মোনালিসা। রাতারাতি তার ফুলের ব্যবসাও ফেঁপে ওঠে। তার কাছ থেকে ফেল কেনার শর্ত হিসাবে সকলের দাবি ছিল তাদের সঙ্গে সেলফি তুলতে হবে। সেই সেলফি কাল হল মোনালিসার কাছে।