আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেস্তোরাঁয় গিয়ে টাকা না দেওয়ার ধান্দা, অতি চালাকি করতে গিয়ে আট-দশ জন যুবক পড়ল মহাবিপদে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। জানা গিয়েছে, কানপুরের একটি রেস্তোরাঁয় আট থেকে দশ জন যুবকের একটি দল ভেজ বিরিয়ানিতে কৃত্রিমভাবে হাড় ফেলে খাবারের বিল না দেওয়ার চেষ্টায় ধরা পড়ে। গত ৩১ জুলাই রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কানপুর শহরের শাস্ত্রী চকের বিখ্যাত 'বিরিয়ানি বে' রেস্তোরাঁয়। জানা গিয়েছে, এলাকার ক্যান্টনমেন্ট থানার আওতায় পড়ে এই রেস্তোরাঁটি। রেস্তোরাঁর মালিক রবিকার সিং জানিয়েছেন, প্রায় আট দশ জনের একদল যুবক গত ৩১ জুলাই, বৃহস্পতিবার রাতে রেস্তোরাঁয় খেতে আসে।

এসে তাঁরা ভেজ এবং নন-ভেজ বিরিয়ানির অর্ডার দিয়েছিল। কিন্তু খাওয়া শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই ওই যুবকদের দলের একজন হঠাৎ চিৎকার করে বলেন, তাঁর ভেজ বিরিয়ানিতে মাংসের হাড় পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পরেই রেস্তোরাঁর মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরিস্থিতি এরপর আরও উত্তপ্ত হলে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ আসার পর দুই পক্ষের উপস্থিতিতে তৎক্ষণাৎ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, এক যুবক অন্য যুবকের হাতে একটি মাংসের হাড় তুলে দিচ্ছে। ওই যুবক মাংসের হাড়টি চুপিচুপি ভেজ বিরিয়ানির প্লেটে রেখে দেন। 

রেস্তোরাঁ মালিক বলেন, ‘আমাদের রান্নাঘরে আমিষ এবং নিরামিষ খাবার সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে তৈরি হয়। একসঙ্গে মিশে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ছিল ওই যুবকদের।’ তাঁর দাবি, ওই যুবকদের পরিকল্পনা ছিল, যাতে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার বিল মেটাতে না হয়। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ না হলেও ক্যান্টনমেন্ট সার্কেল অফিসার যোগেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ‘আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর শহরের বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বেশির ভাগই দাবি করেছেন সিসিটিভি ফুটেজ না থাকলে হয়তো রেস্তোরাঁর ওপর দোষ চাপানো হত। গোটা ঘটনাটি ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে এবং নেটিজেনরা রেস্তোরাঁর সতর্কতা এবং পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।