আজকাল ওয়েবডেস্ক: গাড়ির পিছনে সাঁটানো স্টিকার। তাতে স্পষ্ট অক্ষরে লেখা, চারটি শব্দ। আর তা নিয়েই তুমুল হইচই। হেসে লুটিয়ে পড়ছেন নেটিজেনরা। অনেকেই আবার মুগ্ধ, প্রশংসা করছেন। 

ঘটনার সূত্রপাত মূলত ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও থেকে। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। তবে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ম্যাঙ্গালুরুর একটি মারুতি অল্টোর গায়ে সাঁটানো একটি স্টিকার। আর তাতে স্পষ্ট লেখা, 'দূরত্ব বজায় রাখুন, EMI পেন্ডিং।' আর ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে গিয়েছে চর্চা।

কিন্তু কেন চর্চা? ওই আকটি স্টিকার কেনই বা এত নেটিজেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে?

@bearys_in_dubai নামে এক ব্যবহারকারী মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে সার্কিট হাউস রোডে ট্র্যাফিকের মধ্য দিয়ে একটি মারুতি সুজুকি অল্টো গাড়ি  দেখা গিয়েছে। শেয়ার করার পর থেকে, ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে ৫৪ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ এবং ৩০০,০০০ এরও বেশি লাইক পেয়েছে। অনেকেই সেখানে লিখেছেন, দেখতে বিষয়টি মজার হলেও, ওই ক'টি কথার মাধ্যমে আসলে কঠিন সত্য লেখা রয়েছে। অনেকের মত, গাড়ি কিনতে বিপুল খরচের পরেও, বর্তমানে যে হারে পথ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে, তাতে গাড়ি কেনার সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ হওয়ার আগেই, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যায়। ফলে উলটে খরচ হয় অনেক বেশি। কেউ কেউ আবার লিখেছেন, 'ভারত বিগিনারদের জন্য নয়।'

অনেকেই এটিকে 'সর্বকালের সেরা স্লোগান' বলেও লিখেছেন কমেন্টবক্সে। কেউ কেউ বলছেন, গাড়ির মালিক, যিনি ওই স্টিকার সাঁটিয়েছেন, তিনি 'হানড্রেড পারসেন্ট ফ্যামিলি ম্যান', একজন আবার হাসির ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, 'চালাক ব্রো'। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে  বারবার  সতর্ক করলেও, দিনে দিনে বেড়েই চলেছে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা। অনেকেই বলছেন, দুর্ঘটনা এড়াতেই, শেষমেশ স্টিকার লাগিয়ে ঘুরছেন ওই ব্যক্তি। 

যদিও এই ঘটনা নতুন নয়।  গাড়ির পিছনে সাঁটানো স্টিকার  নিয়ে এর আগেও বেশ হইচই হয়েছে। তামিলনাড়ুর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। @rajeshtravels3110 ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর শেয়ার করা এই ভিডিওটিতে একটি সাদা মারুতি সুজুকি ইগনিস গাড়িকে ধীরে ধীরে একটি বাড়ির বাইরে পার্কিং স্পেসে ঢুকে পড়তে দেখা গিয়েছিল। তবে মূল ঘটনা তা নয়। মূল ঘটনা হল, ওই গাড়ির পিছনে আবার লেখা ছিল, ব্যবহারকারীর নাকি অপর আরও একটি গাড়ি রয়েছে, যেটি বিএমডাব্লিউ। এই গাড়ির পিছনে লিখে বা স্টিকার সাঁটিয়ে কথা বলার যে পদ্ধতি, নিজের বিষয়ে জানানোর পদ্ধতি, তাতেই হাসছেন অনেকে।