অরিন্দম মুখার্জি: কেদারনাথ মন্দির খোলার পর থেকে সবসময় ভক্তদের যাত্রা লেগে থাকে। কিন্তু দেখা যায় বর্ষাকালে বিভিন্ন দুর্যোগ হওয়ার জন্য মূলত পাহাড়ি রাস্তার যাত্রা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে শনিবার সকাল থেকেই কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জঙ্গল চটি থেকে হিমালয়ান মন্দির অব্দি পায়ে হেঁটে যাওয়ার রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে তীর্থযাত্রা বাতিল করা হয়েছে।
রুদ্রপ্রয়াগের পুলিশ অধিক কক অক্ষয় পোলাদ কোন্ডে কেদারনাথ থেকে ফিরছেন যে সকল তীর্থযাত্রী এবং তার সাথে গৌরীকুন্ড এবং সোনপ্রয়াগ থেকে মন্দিরের জন্য যে সকল তথ্যযাত্রীরা যে রাস্তা দিয়ে যাবেন সেই রাস্তার ১০ থেকে ১৫ মিটার রাস্তা একাংশ প্রচন্ডভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে যাত্রা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
পুলিশ আধিকারিক অক্ষয় প্রহ্লাদ কোন্ডে বলেন রাস্তার যেই অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই অংশ তাড়াতাড়ি সারাবার পর আবার যাত্রা করতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। কেদারনাথ দর্শন করে ফেরার পথে যে সকল তীর্থযাত্রীরা এবং গৌরী কুন্ডু আর সোনপ্রয়াগে যে সকল তীর্থযাত্রী অপেক্ষা করছেন তাঁদের জন্য অন্য রাস্তা তৈরি করে তাঁদের ফেরা এবং যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এসপি বলেন শনিবার সকালে রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এবং এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ আর তার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ডিডি আর এফ দল তীর্থযাত্রীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য তারা সকলে সেই স্থানে পৌঁছে যায়। কোন্ডে আরো বলেন, এই বিকল্প রাস্তা তৈরি করার জন্য প্রশাসন পি ডব্লিউ ডি র আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তারাও দুর্ঘটনাগ্রস্ত রাস্তার মেরামত করার জন্য সে স্থানে পৌঁছে যায়। এই কাজ তাড়াতাড়ি না করতে পারলে তীর্থযাত্রীদের মনে ভয়ের আশঙ্কা গড়ে উঠবে। তার কারণ বেশ কিছু বছর আগে এই কেদারনাথ যাত্রায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর তীর্থযাত্রীদের সেই কথা মাথায় রেখে প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা সারানোর কাজ করছে।
এসপি বলেন জঙ্গল চটি কাছেই ট্রেক করে যাওয়ার যে রাস্তাটি আছে সেই রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য যে সকল তীর্থযাত্রীরা সোনপ্রয়াগ আর গৌরীকুন্ডু থেকে কেদারনাথ মন্দিরের দিকে যাওয়ার কোনভাবে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তার কারণ যতক্ষণ না পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা তৈরি হলে প্রথমে মন্দিরে নিচে যে সকল তীর্থযাত্রীরা আটকে আছেন তাদের আগে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, পায়ে হেঁটে কেদারনাথ যাত্রার জন্য যে সকল যাত্রীরা দর্শনে যাবেন তাঁদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পুলিশ সকল তীর্থযাত্রীদের অনুরোধ করেছে তারা যেন সোনপ্রয়াগ বা গৌরীকুন্ডুর আগে কোনভাবেই নিজের জীবনকে ঝুঁকি না নিয়ে এগিয়ে যায়। পুলিশ অনুরোধ করেছে, তারা যেন গুপ্তকাশি, রুদ্রপ্রয়াগ এবং গাড়োয়ালের শ্রীনগর এইসব অঞ্চলে যে সকল পবিত্র তীর্থস্থান আছে সেইসব স্থানে দর্শন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি যে সকল তীর্থযাত্রীরা আকাশ পথে যাতায়াত করতে চান সেই আকাশ পথের যাত্রা খোলা আছে।
