আজকাল ওয়েবডেস্ক: রেশন বন্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। সেই নির্দেশ অনুযায়ী, গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি ও আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই, সংযুক্ত করতে হবে রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্রের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র। সেই নির্দেশ পূরণ করার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের ৮৫ লক্ষ গ্রাহকের এখনও পর্যন্ত ই-কেওয়াইসি করা হয়নি। এই প্রক্রিয়া না সম্পন্ন হলে সরকারের তরফ থেকে রেশন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে ওই সকল গ্রাহকদের।

ঝাড়খণ্ডে এখনও বহু রেশন গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি করা হয়নি। মাসের বাকি কয়েকদিন এত গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি করানো এক প্রকার অসম্ভব। গ্রাহকেরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন যে নতুন মাস থেকে তাঁরা রেশন পাবেন কি না। ই-কেওয়াইসি করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রেশনের দোকানে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে তাঁদের। বিভিন্ন রেশনের দোকানগুলি সার্ভারের সমস্যায় ভুগছে। এর ফলে ই-পস যন্ত্র ঠিক মতো কাজ করছে না। তাই এক একটি পরিবারের ই-কেওইয়াসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। ঝাড়খণ্ডের দু'কোটি ৬৩ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৫২ জন মানুষ কেন্দ্রের খাদ্য সুরক্ষা যোজনার আওতায় রয়েছেন। সকলেরই ই-কেওয়াসি করানো বাধ্যতামূলক।

সম্প্রতি কেন্দ্রের প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের ৯৩ শতাংশ রেশন গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে ৭৩.২, গুজরাতে ৭২.৯ এবং হরিয়ানায় ৪৬.৩ শতাংশই হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও খারাপ। মাত্র ৩৪ শতাংশ। ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৫টিতে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।