আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবারেই প্রকাশ্যে এসেছিল একটি চিঠির কথা। সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছিল,  মণিপুরের জেডিইউ রাজ্য সভাপতি কেশ বীরেন সিংহ চিঠি লিখেছিলেন সে রাজ্যের রাজ্যপালকে। তাতে সাফ জানিয়ে দেন, মণিপুরের রাজ্য সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছে জনতা দল ইউনাইটেড। একথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়। একদিকে আলচনা, তাহলে কি এবার পুরনো বন্ধুও বিজেপির উপর মণিপুর প্রসঙ্গে চাপ তৈরি করছে। অন্যদিকে বিহার ভোটের আগে বিজেপি চালিত সরকারের উপর থেকে নীতীশের দলের সমর্থন প্রত্যাহার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, আলোচনা শুরু হয় তা নিয়েই।


তবে এই চর্চার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই একেবারে অন্য মোড়। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বুধবারই জেডিইউ-র জাতীয় মুখপাত্র রাজীবরঞ্জন প্রসাদ জানিয়েছেন, রাজ্যপালকে পাঠানো ওই চিঠি বিভ্রান্তিকর। সমর্থন প্রত্যাহারের বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে কেশ বীরেন কোনও প্রকার আলোচনা না করেই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে কেশ বীরেনকে নীতীশের দল বরখাস্ত করেছে বলেও জানা গিয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০২২-এর মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের দল ছ’ টি আসন জিতেছিল। কয়েকমাস পর পাঁচজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করেন। বুধবার সে রাজ্যের রাজ্যপাল অজয় কুমার ভাল্লাকে চিঠি লিখে সমর্থন প্রত্যাহারের সঙ্গে কেশ বীরেন জানান, সে রাজ্যে নীতীশের দলের একমাত্র বিধায়ক মহম্মদ আব্দুল নাসিরকে বিরোধী বিধায়ক হিসেবে গণ্য করা হোক।  

নীতীশের দলের সমর্থন প্রত্যাহার কিংবা ওই এক বিধায়কের শাসক পক্ষ থেকে বিরোধী পক্ষে সরে যাওয়ায় মণিপুরের সরকার কিংবা রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে নীতীশের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠছিল। কয়েকঘণ্টা পর প্রশ্নের নিরশন হল।