আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমুদ্রতীরে সকলেই ঘুরতে যান। সেখানে নিজেদের আবর্জনাকে ফেলে আসতে কেউ দ্বিধাবোধ করেন না। তবে নতুন পথ দেখালেন এই জাপানি মহিলা। যেন সমুদ্রকে নির্মল রাখার কাজটি তিনি নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন।


জাপানে জন্ম হওয়া যোগা শিক্ষক পথ দেখাল গোটা বিশ্বকে। নাম তার আকি দৈ। বয়স ৩৮ বছর। এই জাপানি মহিলা গোটা বিশ্বে ভ্রমণ করেছেন। প্রতিটি সমু্দ্রতীরকে পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। এমনকি ভারতের পুরীতে এসেও তিনি এই কাজই করে চলেছেন। 


যারা পুরী সমুদ্রে ঘুরতে আসেন তারা অনেক সময় প্লাস্টিকের নানা বস্তু ফেলে তীরে আবর্জনা তৈরি করেন। তবে এখানেই সকলকে পথ দেখানে এই জাপানি মহিলা। তিনি সমুদ্রতীর থেকে প্রতিটি প্লাস্টিক তুলে নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলে আসেন। এটাই তার জীবনের এখন প্রধান কাজ। তার এই কাজকে কুর্নিশ করেছেন সকলে। প্রথমে তাঁকে দেখে সকলে অবহেলা করলেও দিনের পর দিন ধরে তার এই নিষ্ঠা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। 

 


পুরীতে এই জাপানি মহিলা ২ মাস ছিলেন। সমস্ত সময় ধরে তিনি সমুদ্রতীরকে পরিষ্কার রাখার কাজটি করেন। তার এই কাজের জন্য তিনি কারও থেকে কোনও টাকা নেননি। এরপরই স্থানীয় হোটেল, পর্যটকরাও তার সঙ্গে এই কাজে হাত লাগান। ফলে ধীরে ধীরে আবর্জনামুক্ত হতে শুরু করে পুরীর সমুদ্র সৈকত। 

 


তার এই কাজ দেখে তাঁর পাশে এসেছে পুরীর সরকার। তারা একটি বিশেষ টিম গঠন করে দিয়েছে। এই টিমের প্রধান কাজই হল সমুদ্র সৈকতকে পরিষ্কার রাখা। যদি কেউ ভুল করে সমুদ্রে আবর্জনা ফেলার কাজটি করেন তাহলে তাঁকে বোঝানো হয়। পরে তাঁকে জরিমানা করা হয়।  

 


যদি নিজেদের চারিদিক আমরা প্লাস্টিক মুক্ত না রাখতে পারি তাহলে সেখান থেকে কীভাবে ভবিষ্যৎ ভালো হবে। এই কথাই সকলকে বুঝিয়েছেন এই জাপানি মহিলা। তার দেখানো পথেই এখন প্লাস্টিক মুক্ত হয়েছে পুরীর সমুদ্র সৈকত।