আজকাল ওয়েবডেস্ক: গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহে লোডশেডিং খুব সাধারণ বিষয়। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর সেই সময়ই লোডশেডিং হয়। গ্রীষ্মকালে বার বার লোডশেডিংয়ের ফলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে। তাই উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের এক পড়ুয়া অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে একটি মিনি কুলার তৈরি করেছে। এই প্রকল্পটি সম্পন্ন করতে মাত্র দুই থেকে তিন দিন সময় লেগেছে এবং খরচ হয়েছে মাত্র ২৫০ টাকা। উল্লেখযোগ্যভাবে, কুলারটি বিদ্যুৎ ছাড়াই ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে পারে। 

কুলারটি তৈরির কারণ হিসেবে পাম্মি জানিয়েছে, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে তার পড়াশোনা ব্যাহত হয়। এর একটি সমাধান খুঁজে বার করা কথা ভাবতে গিয়েই কুলারটি তৈরির কথা মাথায় আসে। বাহরাইচ জেলার মহল্লা ব্রাহ্মণীপুরার বাসিন্দা দশম শ্রেণির ছাত্রী পাম্মি যা করে দেখিয়েছেন, অনেক প্রাপ্তবয়স্করা হয়তো তা কল্পনাও করতে পারেন না। বাড়িতে ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র ব্যবহার করে একটি মিনি কুলার তৈরি করে ফেলেছে সে। পাম্মি একটি তেলের টিন ব্যবহার করেছে। যেটির তিন দিকে গর্ত করে একদিকে মোটর এবং  অন্যদিকে একটি ফ্যান লাগিয়েছে। একটি ব্যাটারি লাগিয়েছে এবং ফ্যানের ব্লেডে যাতে আঙুল না লেগে যায় সেই সুরক্ষা বজায় রাখতে একটি নেটও লাগিয়েছে। এছাড়াও, একটি চার্জিং পয়েন্ট এবং একটি সুইচ লাগিয়েছে। এরপরেই তৈরি হয়ে গিয়েছে মিনি কুলার। পুরো কাজটি করতে পাম্মির দুই থেকে তিন দিন সময় লেগেছে।

এখন লোডশেডিং হলেই পাম্মি তার কুলারটি ব্যবহার করে। পাশাপাশি, তার পড়াশোনাও চালিয়ে যেতে পারে। পাম্মি জানিয়েছে, ছোট থেকেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছে। মিনি কুলার তৈরি তার এই স্বপ্নের দিকে প্রথম পদক্ষেপ। ভবিষ্যতে আরও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া এবং আরও নতুন যন্ত্র তৈরি করাই লক্ষ্য তার।