আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইনস্টাগ্রামে পরিচয়। কয়েক মাস যেতেই বিয়ে। সুখের সংসার টিকল না একবছর ও। দ্বিতীয় স্বামীর হাতে নির্মমভাবে খুন হলেন এক যুবতী। শ্বাসরোধ করে খুন করার পর, অভিযুক্ত যুবক দেখাতে চেয়েছিলেন এটি দুর্ঘটনা। কিন্তু পরিকল্পনা শেষমেশ ভেস্তে গেছে। পুলিশের জালে অভিযুক্ত স্বামী।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরু থেকে খানিকটা দূরে মারাগোন্দানাহাল্লিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সি রেশমা নামের এক যুবতীকে গত সপ্তাহে তাঁর বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এই ঘটনায় মূল অভিযোগ উঠেছে তাঁর দ্বিতীয় স্বামী প্রশান্ত কুমারের বিরুদ্ধে।
প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর, দ্বিতীয়বার আবারও বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রেশমা। শোক কাটিয়ে নতুন করে জীবন উদযাপন করতে চেয়েছিলেন। ১৫ বছর আগে রেশমার প্রথম স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। মেয়ের দেখভালের জন্য আনেকল এলাকায় পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন রেশমা। মিতভাষী রেশমার কোনও দুর্নাম ছিল না। বরং মন দিয়ে কাজ করে উপার্জন করতেন।
একবছর আগেই এই ঘটনায় নাটকীয় মোড় নিল। ইনস্টাগ্রামে প্রশান্ত কুমারের সঙ্গে রেশমার আলাপ হয়েছিল। ক্রমেই বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রশান্ত অবিবাহিত ছিলেন। রেশমার কাহিনি শুনে আবেগপ্রবণ হয়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। ন'মাস আগে রেশমা ও প্রশান্ত বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিয়ের প্রথম কয়েক সপ্তাহ সুখের সংসার ছিল তাঁদের। তারপর থেকে অশান্তি শুরু। প্রশান্ত সন্দেহ করতেন রেশমার চরিত্র নিয়ে। যা ঘিরে দাম্পত্য কলহ চরমে পৌঁছত নিত্যদিন। ১৫ অক্টোবর রাতে এই অশান্তির চোটেই রেশমাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন প্রশান্ত। খুনের পর ঘটনাটি দুর্ঘটনা হিসেবে দেখাতে চেয়েছিলেন যুবক। রেশমার দেহ ফেলে রেখেছিলেন বাথরুমে। গিজারের সুইচ অন করে পালিয়ে থেকে পালিয়ে যান। যাতে দেখলে সকলের মনে হবে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রেশমার মৃত্যু হয়েছে।
বাড়ি ফিরেই রেশমার মেয়ে দেখেন বাথরুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। দরজা খুলতেই মায়ের নিথর দেহ দেখতে পায়। তড়িঘড়ি স্থানীয়দের ও প্রতিবেশীদের খবর দেয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এরপরই রেশমার বোনের প্রশান্তের অসংগতিপূর্ণ আচরণে সন্দেহ হয়। পুলিশে খবর দেন তিনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, রেশমার মৃত্যু শ্বাসরোধের জেরেই হয়েছে। এরপর প্রশান্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত , দিন কয়েক আগে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। মাত্র চার মাস আগে বিয়ে। কয়েক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু আরও পণের দাবি। পণের দাবি না মেটায় চরম পদক্ষেপ করলেন এক যুবক। নিজের সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করলেন। এরপর বাড়িতেই বিছানার তলায় স্ত্রীর নিথর দেহ লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যান। শেষমেশ ফাঁস হল তাঁর কীর্তি।
সর্ডবভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চার মাস আগেই দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। সম্প্রতি স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। এরপর মৃতদেহটি নিজদের বাড়িতেই বিছানার তলায় লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যান।
খুনের দিন বাড়িতে ছিলেন না আকাশ কাম্বারের মা। আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পর বিছানার তলা থেকে ২০ বছর বয়সি সাক্ষী কাম্বারের দেহ দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, তিনদিন আগে তরুণীকে খুন করেন আকাশ। পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত আকাশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করেছেন তা এখনও জানা যায়নি। তবে সাক্ষীর পরিবারের দাবি, আরও পণের দাবিতে তরুণীকে খুন করেছেন আকাশ। বিয়ের পর থেকেই পণ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। সেই বচসার জেরেই চরম পদক্ষেপ করেছেন তিনি।
