আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রায় ৪৯.৪২ কোটি টাকার ভুয়ো মদ চালান কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল দুই ব্যক্তি, আনশ ত্রিবেদী এবং রাজু দশবন্ত। ইতিমধ্যেই এই বহুচর্চিত চক্র নিয়ে জোর কদমে তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

 

ইডি সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের রাওজি থানায় একটি এফআইআর দায়ের হওয়া থেকেই এর সূত্রপাত। শুরু হয় তদন্ত। সেই অভিযোগপত্রে কয়েকজন মদ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের প্রায় ৪৯.৪২ কোটি টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ ওঠে। তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্তরা রাজ্য সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়া চালান বা 'চাল্লান'-এ গোপনে কারচুপি করে যাচ্ছিল।

 

জানা গিয়েছে, সরকারি চালান জমা দেওয়ার সময় সংখ্যাকে কথায় লেখার ঘরগুলি ফাঁকা রেখে দিত তারা। পরে সেই জায়গায় বড় অঙ্ক বসিয়ে চালানগুলি ভুয়ো করে তোলা হত। এই ভুয়ো চালানগুলিকেই দেখানো হত আসল সরকারি নথি হিসেবে - যেন তারা যথাযথভাবে এক্সসাইজ ডিউটি, লাইসেন্স ফি ও ন্যূনতম গ্যারান্টি অর্থ জমা দিয়েছে। আর এই জাল নথির জোরেই তারা জোগাড় করত বেআইনি 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' ও নতুন মদের লাইসেন্স।

 

ইডির দাবি, তদন্তে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে গোটা কারসাজির মাস্টারমাইন্ড ছিল আনশ ত্রিবেদী ও রাজু দশবন্ত। সরকারি নথি জালিয়াতি করে কীভাবে এত বড় অঙ্কের অর্থ পাচার করা হয়েছে, তা নিয়েই এখন গভীর অনুসন্ধান চালাচ্ছে ইডি।

আরও পড়ুন: গোপনে ফাঁকা ঘরে ডেকে নিয়ে চরম নির্যাতন নাবালিকাকে! অভিযুক্ত 'দাদু'র কীর্তি ফাঁস হতেই উত্তপ্ত এলাকাবাসী 

খবর অনুযায়ী, সোমবার বিশেষ আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্ত দু'জনকে। আদালতের নির্দেশে আপাতত বুধবার পর্যন্ত ইডির হেফাজতেই থাকছে তারা।

আরও পড়ুন: ঘর থেকে অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার! 'অস্বাভাবিক যৌন চাহিদা'র অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬১- এর প্রৌঢ়, জানাজানি হতেই হুলুস্থুল 

 

ইডি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের জেরা করে পুরো অর্থের গতি ও গন্তব্য বর্তমানে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, আরও কোন কোন মদ ব্যবসায়ী বা সরকারী আধিকারিক এই চক্রে জড়িত, তাও জানা যাবে তদন্তে।

 

সরকারি কোষাগার থেকে শুরু করে এক্সসাইজ লাইসেন্স - একের পর এক স্তরে দুর্নীতির ছাপ মিলেছে। এই কেলেঙ্কারিতে রাজ্য সরকারের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করছে ইডি। তদন্ত এখনও জারি, সামনে আরও নাম, আরও চমকপ্রদ তথ্য সামনে আসতে পারে বলে ইঙ্গিত তদন্তকারী সংস্থার।