আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হলেন অমিত শাহ। তিনি ভাঙলেন বিজেপিরই 'লৌহ পুরুষ' লালকৃষ্ণ আডবাণীর রেকর্ড। আডবাণী ২২৫৬ দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার সামলেছিলেন। শাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পদে ২০১৯ সালের ৩০ মে শপথ নিয়েছিলেন। এই পদে তাঁর কাজের মেয়াদ ২২৫৮ দিন। 

জওহরলাল নেহরুর জমানায় একটা ৬ বছর ৫৬ দিন দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন গোবিন্দ বল্লভ পন্থ। লালকৃষ্ণ আডবাণী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন ৬ বছর ৬৪ দিন। আর অমিত শাহ ৬ বছর ৬৫ দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পদে রয়েছে।

কাকতালীয়ভাবে, ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট সংসদে ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। ফলে বাতিল করা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। যা নিয়ে দেশজুড়ে, এমনকি বিশ্বেও জোর চর্চা হয়েছিল। সেই ঘোষণার আজ ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি। আর এই দিনই অমিত শাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে মাইলফলক অর্জন করলেন।

অমিত শাহ গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতির পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন।

আরও পড়ুন- প্রয়াত জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক, পুলওয়ামাকাণ্ডে প্রশ্ন তুলে হইচই ফেলেছিলেন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে অমিত শাহর মেয়াদকালে ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তনমূলক উন্নয়ন ঘটেছে। ঐতিহাসিক ৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। এরপর থেকে এই অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলার নাটকীয় উন্নতি দেখা গিয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের। পাথর ছোঁড়ার ঘটনা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে, বামপন্থী চরমপন্থা- নকশালবাদ এবং মাওবাদী কার্যকলাপে আক্রান্ত এলাকাগুলির সংখ্যা দ্রুত কমছে। 

রাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণের শান্তিপূর্ণ অগ্রগতি, নতুন ফৌজদারি বিচার আইন প্রণয়ন এবং নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ)-এর সফল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন এই সময়কালকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে। উত্তর-পূর্বে একাধিক শান্তি চুক্তি দীর্ঘস্থায়ী বেশ কয়েকটি বিদ্রোহের সমাধান এনেছে, যা এটিকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কাঠামোতে উল্লেখযোগ্য একীভূত করে তুলেছে।