আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের চাকরির বাজার আরও বাড়াবে এআই। ভারতের কাজের বাজার ২০২৩ সালে ৪২৩.৭৩ মিলিয়ন ছিল। সেখান থেকে ২০২৮ সালে ৪৫৭.৬২ মিলিয়ন হবে। ৩৩.৮৯ মিলিয়ন নতুন কর্মী চাকরি পাবে বলেই খবর। অনেকেই যেখানে মনে করেছিল এআইয়ের ফলে ভারতে চাকরির বাজার অনেক বেশি কমবে। কিন্তু সেই সব ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে ভারতের বাজারে নতুন কাজের জোয়ার আনবে এআই।
২০২৮ সালের মধ্যে ভারতের কর্মসংস্থানে প্রায় ৩৩ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, যা একদিকে যেমন দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির জন্য উৎসাহের বিষয়, তেমনি অন্যদিকে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক ব্যবহার দেশের কাজের বাজারে এক নতুন যুগের সূচনা করবে। প্রযুক্তির এই দ্রুত অগ্রগতি দেশে কর্মসংস্থানের নতুন পথ খুলে দিতে পারে, বিশেষ করে সেই সব ক্ষেত্রে যেখানে মেশিন লার্নিং, অটোমেশন এবং রোবোটিক্সের ব্যাপক ব্যবহার সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদিও অনেক পুরনো কাজের ধরণ প্রযুক্তির কারণে বিলুপ্ত হতে পারে, তবে নতুন শিল্প এবং সেক্টর তৈরি হওয়ার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ নতুন চাকরি সৃষ্টি হবে। যেমন, ডেটা সায়েন্স, রোবটিক্স, সাইবার সিকিউরিটি, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন হবে। এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থানের পথগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এবং এআই ট্রেনিং।
ভারত সরকার এবং প্রাইভেট সেক্টরগুলি এই পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে, যাতে শ্রমিকদের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করা যায়। এতে করে ভারতের তরুণ প্রজন্মও এআই এবং প্রযুক্তি সংক্রান্ত কাজে নিজেদের প্রমাণ করতে সক্ষম হবে। তবে, এই নতুন যুগের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের শর্তগুলিও পরিবর্তিত হবে। শারীরিক শ্রমের চেয়ে দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। অর্থাৎ, ভবিষ্যতের কাজের বাজারে টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তির সঙ্গে আপডেট থাকা এবং নতুন স্কিল অর্জন অপরিহার্য হয়ে উঠবে। এআই এবং প্রযুক্তির এই বিপ্লব ভারতের অর্থনীতির জন্য একটি বড় সুযোগ নিয়ে আসবে।
