আজকাল ওয়েবডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পর ভারতের হাতে আসছে বিরাট এক অস্ত্র। সীমান্তপারের সন্ত্রাস রুখতে ভারতের হাতে এবার আসবে অ্যাপাচে হেলিকপ্টার। এটি আসেত দেরি হয়েছে প্রায় ১৫ মাস। তবে প্রথম দফায় যে কটি হেলিকপ্টার আসার কথা ছিল সেগুলি সবই প্রায় চলে আসবে ভারতের হাতে।


এই হেলিকপ্টার আসার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী যে বাড়তি বল পাবে সেকথা বলাই যায়। ২০২০ সালে আমেরিকার সঙ্গে এই হেলিকপ্টার নিয়ে একটি চুক্তি করেছিল ভারত। সেখানে ৬০০ মিলিয়ন ডলার টাকার রফাও হয়েছিল। ২০২৪ সালের মে-জুন মাসেই ৬ টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার আসার কথা ছিল। তবে সেটি কোনও কারণে দেরি হয়। 


তবে ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে চলতি মাসেই ভারতের হাতে আসতে চলেছে এই উন্নত যুদ্ধের হেলিকপ্টারটি। মার্কিন সেনার সঙ্গে যে কথা হয়েছে তেমনভাবেই ভারতের হাতে ৬ টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার আসবে। 


কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত কারণে এই হেলিকপ্টারগুলি আসতে খানিকটা সময় লেগেছিল। তবে আগামী সপ্তাহেই প্রথম দফার হেলিকপ্টার পেতে চলেছে ভারত। চলতি বছরের শেষে দ্বিতীয় দফার হেলিকপ্টারও পাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। 


মনে করা হচ্ছে দেশের পশ্চিমভাগের সীমান্ত সুরক্ষার দিকে এই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার বিরাট কার্যকরী ভূমিকা নেবে। এই হেলিকপ্টার হাতে এলে সীমান্ত পারে ভারত আরও শক্তিশালী হবে বলেই সকলে মনে করছেন। ভারতের অস্ত্রের ঝুলিতে এটি একটি বিরাট দিক বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।


অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হল একটি শক্তিশালী অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। এটি একটি দ্বি-ইঞ্জিন বিশিষ্ট হেলিকপ্টার, যা ১৯৮৪ সাল থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই হেলিকপ্টারটি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী এবং স্থল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ভারতীয় বিমান বাহিনীও এই হেলিকপ্টার ব্যবহার করে এবং এটিকে "ট্যাঙ্ক ইন দ্য এয়ার" বলা হয়।


অ্যাপাচে হেলিকপ্টার, বিশেষ করে AH-64E মডেলটি, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মাল্টি-রোল কমব্যাট হেলিকপ্টারগুলির মধ্যে একটি। এটি ভারী সাঁজোয়া যান, বাঙ্কার এবং অন্যান্য স্থল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম।


ভারতীয় সেনাবাহিনীও তাদের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই উন্নত কমব্যাট হেলিকপ্টারগুলি চেয়েছিল। অ্যাপাচে হেলিকপ্টারে অত্যাধুনিক সেন্সর এবং অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে, যা এটিকে দিনের বেলা এবং রাতের বেলায় উভয় সময়েই কার্যকর করে তোলে। এর মধ্যে একটি রাডার সিস্টেমও রয়েছে যা লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে সহায়তা করে। অ্যাপাচে হেলিকপ্টার তার উন্নত প্রযুক্তির কারণে যুদ্ধের ময়দানে খুব কার্যকরী একটি হেলিকপ্টার। এটি শত্রুপক্ষের জন্য একটি বড় হুমকি।