আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভয়াবহ ঘটনা। ধর্ষণের প্রতিবাদ করেছিলেন গর্ভবতী মহিলা। তাই চলন্ত ট্রেন থেকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হল ওই মহিলাকে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পরে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সি মহিলা রেবতী একাই কোয়েম্বাটুর-তিরুপতি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের ত্রিপ্পুর থেকে চিত্তুরে যাচ্ছিলেন তিনি। আরপিএফ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম হেমরাজ (২৭)। ভোর ৬টা ৪০ নাগাদ একটি অসংরক্ষিত টিকিট নিয়ে এক্সপ্রেস ট্রেনের মহিলা কোচেই চেপে বসে হেমরাজ। সে সময় ওই কোচে আরও সাতজন মহিলা সওয়ারী ছিলেন। 

ট্রেনটি সকাল ১০টা ১৫ নাগাদ জোলারপেট্টাই স্টেশনে পৌঁছলে অনান্য সব মহিলারা কামরা থেকে নেমে যান। কিছুক্ষণ পরে অভিযুক্ত ওই গর্ভবতী মহিলাকে দেখতে পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। মহিলা বাধা দিলে পরিস্থিতি জটিল হয়। সেই রাগেই মহিলাকে লাথি মেরে যুবক চলন্ত ট্রেন থেকে ফেল দেয়। জানা গিয়েছে যে, মহিলার হাত, পা এবং মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। 

জখম ওই গর্ভবতী মহিলা বর্তমানে ভেলোর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে আরপিএফ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা বাপের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। 

পুলিশ জানিয়েছে যে, অভিযুক্ত একজন অভ্যাসগত অপরাধী এবং একই ধরনের মামলায় আগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। অভিযুক্ত হেমরাজকে এর আগেও হত্যা ও ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।