আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোল আলো করে এসেছিল পুত্র সন্তান। খুশি ধরছিল না দম্পতির। কিন্তু সদ্যজাতের নামকরণেই যত সমস্যা! কী হবে ছেলের নাম? এই নিয়েই বাবা-মায়ের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা যায়। কেউ কারোর দেওয়া ছেলের নাম মানতে নারাজ। সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। একসময় তা জটিল হয়। শেষে ছেলের নামকরণ নিয়ে সমস্যার জেরে ওই দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের পথে পা বাড়ান। এখানেই সব শেষ নয়, তারপর ঘটনায় এল নয়া মোড়!  

কর্নাটকের বাসিন্দা ২৬ বছরের এক ব্যক্তি ২০২১ সালে সদ্যজাতের নাম রাখতে চেয়েছিলেন আদি। যা পছন্দ হয়নি বাচ্চাটির মায়ের। তিনি রাখেন অন্য নাম এই ডামাডোলের মধ্যেই দুধের শিশুটির নাকরণ আনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন তার মা। ছেলের নাম তাঁর পছন্দের না হওয়ায় সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বাবা।

ঘটনার প্রথম মোড় এর কয়েক মাসের মধ্যে। স্বামীর প্রতি বিতশ্রদ্ধ হয়ে ভরণপোষণ-সহ বিচ্ছেদ চেয়ে নোটিশ পাঠান স্ত্রী। দ্বারস্থ হন আদালতের। 

এই ধরনের কারণে বিচ্ছেদ মামলায় কিছুটা আবাকই হয়েছিলেন বিচারক। তিনি শিশুটির জন্য একাধিক নামের পরামর্শ দেন। কিন্তু এতেও সমাধান মেলেনি। এরপর গত সপ্তাহে মহিশুর সেশন কোর্ট ওই দম্পতিকে ডেকে পাঠায়। তিন বছরের শিশুটির নাম আর্যবর্ধন রাখার পরামর্শ দেন বিচারক। তাতেই সিলমোহর দেন দম্পতি। তারপরই বিরোধ মিটিয়ে বাচ্চা নিয়ে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন ওই দম্পতি।   

গত বছর, কেরল হাইকোর্ট একটি তিন বছরের শিশুর নামকরণ করেছিল। এক্ষেত্রেও শিশুটির বাবা-মা নামকরণ নিয়ে একমত হতে পারেননি। এরপরই বিচ্ছেদের রাস্তায় হাঁটেন ওই দম্পতি। শেষে বিচারকের নির্দেশ ছিল, মায়ের প্রস্তাবিত নামকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যদিকে পিতৃত্ব নিয়ে কোনও বিরোধ না থাকার কারণে পিতার নামটিও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উভয়ের প্রস্তাববিত নাম একত্রিত করেই শিশুটির নামকরণ করা হয়।