আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা দক্ষিণ ভারত জুড়ে এখন প্রবল শীতের দাপট চলছে। আইএমডি-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই পরিস্থিতি এখন চলবে। এই এলাকায় আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও নিচের দিকে থাকবে। দিল্লিতে বর্তমানে কুয়াশার দাপট দেখা গিয়েছে। তবে আকাশ পরিষ্কার থাকলে চলছে শীতের প্রভাব। বাতাসে ধুলোর পরিমানও রয়েছে বেশ খানিকটা নিচের দিকে। ফলে এটা স্বস্তি দিয়েছে দিল্লিবাসীকে। 


দিল্লিতে একেবারে ভোরের দিকে দৃশ্যমানতা একেবারে নিচের দিকে রয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচল তখন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শীতের প্রভাব খানিকটা কম থাকবে। কয়েকটি রাজ্যে জারি হয়েছে বৃষ্টির সতর্কতাও। 

 


তবে এসব নিয়ে কোনও ভাবনা ভাবতে চান না জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা। তারা কিন্তু চুটিয়ে শীত উপভোগ করছেন। সেখানে রাতের দিকে তো বটেই দিনের আলোতে চলছে তুষারপাত। বান্দিপারা, বারামুলা, কুপওয়াড়া, বুধগাঁও, গান্ডেরবালে তৈরি হয়েছে তুষারের রাস্তা। বন্ধ রয়েছে এইসব রাস্তা। 

 


হিমাচল প্রদেশে তাপমাত্রা তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রির কাছে রয়েছে। সেখানেও শীতের আসরে থাবা বসিয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। কুয়াশার সঙ্গে লড়াই করে দিন কাটাচ্ছে ওড়িশা, ছত্তিশগড়, কটকের বাসিন্দারা। এখানে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বেড়েছে। 


বুধবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী তিনদিনে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। ২৬ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রার পারদ ফের নিম্নমুখী হবে। তখন থেকে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। 

 


দক্ষিণবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারেও ঘন কুয়াশার দাপট জারি থাকবে। 
উত্তরবঙ্গের সব জেলা ঘন কুয়াশায় মোড়া থাকবে। বিশেষত কোচবিহার, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে কুয়াশার হলুদ সতর্কতা রয়েছে। আগামিকাল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশার হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহান্তে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।