আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ফের একবার আবহাওয়াতে বড় বদল আসতে চলেছে। আইএমডি-র মতে, পশ্চিম দিক থেকে যে বাতাস আসছে সেখানে প্রচুর জলীয় বাষ্প রয়েছে। ফলে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি হবে। ফলে শীতের শেষ এবং গরমের শুরুতে এই বৃষ্টি নতুন করে মাথাব্যথা তৈরি করবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে অরুণাচল প্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। শনিবার থেকে এই বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। পাশাপাশি সেখানে তুষারপাতও সমান হারে চলবে। সারাদিন ধরে ঝোড়ো বাতাস বইবে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন অংশে। ফলে সেখানেও হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত হবে।
রাতের দিকে বৃষ্টি হবে উত্তর পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। সেখানে বৃষ্টির ফলে তাপমাত্রা অনেকটাই নিচের দিকে থাকবে। বিহারের বাসিন্দারা তাই খানিকটা স্বস্তিতে থাকবেন। পাশাপাশি তুষারপাতের ফলে কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচেই থাকবে।
হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে সোমবার থেকেই এই রাজ্যগুলিতে হালকা বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশেও হালকা বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে পরিবেশ এখন গরম থাকবে। ভোরের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে চড়বে তাপমাত্রার পারদ। দিল্লিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি থাকবে।
আলিপুর বলছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাহাড়ে তুষারপাতের কোনও পূর্বাভাসও তারা দিচ্ছে না। তবে বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস আর থাকছে না।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব ছিল। তার জেরে রাজ্যে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে। এর ফলে কুয়াশার সম্ভাবনাও বেড়েছিল।পাশাপাশি শহরাঞ্চলে আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যাচ্ছিল বেশ কয়েক দিন ধরে। এই পরিস্থিতি থেকে খানিকটা বদল হতেও পারে।
