আজকাল ওয়েবডেস্ক:  হায়দরাবাদ মানেই মনে আসে নানা ধরণের ছবি। সেখানে চারমিনার থেকে শুরু করে সমুদ্র। সেখানকার শিক্ষা, সংস্কৃতি, ভাষা, কাজের পরিসর সব মিলেই যেন এক অন্য ধারণা তৈরি করে দেয়।


তবে এবার জলের বিরাট সমস্যা তৈরি হয়েছে হায়দরাবাদের সামনে। মাটির তলায় যে হারে জলের আকাল দেখা দিয়েছে সেখান থেকে আগামী গরমের দিনে এখানকার মানুষদের পানীয় জলের সমস্যা বিরাট ভোগাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। 


তবে এর পিছনে এখানকার বাসিন্দারা অনেকটাই দায়ী। তারা যেভাবে জলের অপচয় করেছে তারই ফল এবার তাঁদেরকে ভুগতে হয়েছে। এখানকার জুবিলি হিলে তৈরি হয়েছে বিরাট সমস্যা। এখানে বড়লোক এবং গরিবের মধ্যে শুরু হয়েছে বিরাট ফারাক। যেখানে বড়লোকরা অতি সহজেই জল কিনে নিয়ে নিজেদের ঘরে জমিয়ে রাখছে সেখানে গবিরবা নিজেদের প্রয়োজনের জলটুকু কিনতে পারছেন না। 

 


এখানে ৫ হাজার লিটার জলের জন্য ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। মাটির তলায় জলের স্তর এতটাই কমে গিয়েছে যে সেখান থেকে জলের যোগান দেওয়া অতি কষ্টকর হিসাবে দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এখানে গরমে সময় আসছে। তখন এই জলের দাম অনেক বেশি হয়ে যাবে। ফলে সেই সময় জল কিনে খাওয়া অনেক বেশি সমস্যা তৈরি করবে।

 


একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখানকার কুকাটপল্লি এলাকায়। এখানেও জলের স্তর নেমেছে ৬.২৯ মিটার। ফলে সেখান থেকে গরমের দিনে জল একেবারে মিলবে না। কিনে খাওয়া জলই এখানে হবে তখন প্রধান উপায়। তবে সেখানেও জলের যে দাম রাখা হয়েছে সেটা সাধারণের নাগালের বাইরে। 


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন এই এলাকার জলের এতটা বেশি অপব্যবহার করা হয়েছে যে সেখান থেকে এখানে এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃষ্টির জল সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। ফলে সেখানেও বিরাট ক্ষতি হয়েছে। জল নিয়ে এখন যে কালোবাজারি করা হয়েছে সেটা আগামী গরমে যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখাই এখন সরকারের প্রধান কাজ।