আজকাল ওয়েবডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) এক মহিলা অফিসার ক্যামেরার সামনে কাঁদছেন। এই মহিলা জওয়ানের বাড়ি তামিলনাড়ুতে। সেখানে তাঁর বাড়িতে চুরি হয়েছে। খোয়া গিয়েছে সোনার গয়না। পুলিশকে পুরো ঘটনা জানালেও তারা নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ। ফলে, এখন দিশাহার ওই মহিলা সিআরপিএফ জওয়ান। ফলে ক্যামেরার সামনেই তাঁকে কেঁদে ফেলতে দাখা গেল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার হওয়া ভিডিও-টিতে দেখা যাচ্ছে, ৩২ বছর বয়সী কলাবতী কাঁদতে কাঁদতেই বর্ণনা করছেন যে- কীভাবে তাঁর বিয়ের জন্য রাখা গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। এবং স্থানীয় পুলিশ কীভাবে সময়মতো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

কলাবতী জানান, ২৪ জুন পোন্নাইয়ের কাছে নারায়ণপুরম গ্রামে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। সেই সময় তাঁর বাবা এবং ভাই জমিতে চাষের কাজ করছিলেন। সেই সময়ে তাঁর মা গরু চরাতে গিয়েছিলেন।

ভিডিওতে কলাবতী বলেন, "তালা ভাঙা ছিল এবং আমার বিয়ের জন্য রাখা সমস্ত গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। যখন আমার মা বিকেল ৫.৩০ নাগাদ ফিরে আসেন, তখন তালা ভাঙা দেখেন। নজরে পড়ে যে সব গয়না চুরি হয়ে যায়। আমার ভাই ফিরে আসার পর আমার বাবা-মা কাঁদছিলেন। গত ২৪ জুন অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশে কিন্তু কেউ তদন্ত করতে আসেননি। ২৫ জুন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল। পরে কেবল আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয় এবং ২৮ জুন এফআইআর দায়ের করা হয়।"

তিনি বলেন, গোটা পরিবার বিধ্বস্ত, বিয়ের জন্য যা কিছু জমা ছিল তা খোয়া গিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার বারবার চেষ্টা করার পরেও তাদের পক্ষ থেকে খুব একটা খোঁজখবর নেওয়া হয়নি।

ভিডিওটি বিজেপি নেতা কে আন্নামালাই এক্স-এ শেয়ার করেছেন। আন্নামালাই লিখেছেন, “এ কোন ধরণের শাসনব্যবস্থা যেখানে একজন মহিলাকে কাঁধে জাতির পতাকা পরে অনলাইনে ন্যায়বিচার ভিক্ষা করতে বাধ্য করে? এটা কেবল অনাচার নয়, এটা ডিএমকে-র শাসনব্যবস্থার মডেল, যেখানে অপরাধীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায় এবং আমাদের জাতির রক্ষকরা সাহায্যের জন্য আবেদন করেন।” 

?ref_src=twsrc%5Etfw">August 4, 2025

জবাবে, ভেলোর জেলা পুলিশ একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে, ২৪ জুন কলাবতীর বাবা কুমারস্বামী তাঁর বাড়িতে চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ অনুসারে, কলাবতীর বিয়ের জন্য রাখা ১৫টি সোনার গয়না, ৫০,০০০ টাকা নগদ এবং একটি সিল্কের শাড়ি চুরি হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে যে, ২৫ জুন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আঙুলের ছাপের নমুনা এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।

তারা সন্দেহভাজনদের মোবাইল কল ডেটা রেকর্ড (সিডিআর) উদ্ধারের জন্য টাওয়ার ডাম্প প্রযুক্তিও ব্যবহার করেছে। ২৯ জুন, অভিযোগকারী তাঁর বিবৃতি সংশোধন করে বলেছেন যে- চুরি হওয়া গয়নার ওজন ২২.৫ গ্রাম।

পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, কুমারস্বামী সন্তোষের বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সন্তোষের সঙ্গে আগে মহিলা সিআরপিএফ জওয়ান কলাবতীর বিয়ে হয়েছিল। পরে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। তাঁরা দাবি করেছে যে- কোনও বিলম্ব ছাড়াই তদন্ত চলছে এবং এফআইআর দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলে কলাবতীর দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।