আজকাল ওযেবডেস্ক: উত্তরাখণ্ড ও মধ্যপ্রদেশের পর এবার হিমাচল প্রদেশও শিল্প ও ঔষধি-তে ব্যবহারের জন্য নিয়ন্ত্রিত এবং বৈধভাবে গাঁজা চাষ করা যাবে। এর মাধ্যমে কংগ্রেস শাসিত হিমাচল বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করার আশা করছে। উপযুক্ত কৃষি-জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে, কুলু, মানালি, মান্ডি, চাম্বা, সিমলা এবং সিরমৌরের মতো অঞ্চলে গাঁজা চাষ বাল হয়। রাজ্য মন্ত্রিসভা শুক্রবারই গাজা চাষের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে।

তবে সে রাজ্যের সাধারণ কৃষকরা প্রকাশ্যে গাঁজা চাষ করতে পারবেন না। নিয়ন্ত্রিতভাবে চৌধুরী সারওয়ান কুমার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ড. ওয়াইএস পারমার হর্টিকালচার নৌনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে গাঁজা চাষ করবে। হিমাচল প্রদেশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মূলত গবেষণার জন্য।

নোডাল এজেন্সি হিসাবে মনোনীত কৃষি বিভাগ, গাঁজা চাষ শুরু করার পদ্ধতিগুলি নিয়ে কাজ করবে। বিভাগটিকে সমস্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি  প্রস্তুত করার জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ওষুধের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত গাঁজার প্রজাতি নির্বাচন করাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, কৃষি বিভাগ কৃষকদের লাইসেন্স প্রদানের জন্য বীজ ব্যাংক তৈরি করবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে সরবরাহ করা বীজে কম মাদকদ্রব্য থাকে।

হিমাচল প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হবে গাঁজার মাদকদ্রব্যের উদ্দেশ্যে ব্যবহার রোধ করা। রাজ্যকে ঔষুধ এবং শিল্প খাতের জন্য উপযুক্ত উচ্চমানের বীজ উৎপাদনের জন্য বিশেষায়িত ল্যাব তৈরি করতে হবে।