আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রবল চাপে হিমাচলবাসী। সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে এখানকার ৪৫ শতাংশ জমি ধসের কবলে চলে যেতে পারে। পাশাপাশি জলের তোড়ে ভেসে যেতে পারে গোটা এলাকা। রোপার আইআইটি-র পক্ষ থেকে এমনটাই বলা হয়েছে। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে সকলে।
সম্প্রতি এই টিমের পক্ষ থেকে গোটা হিমাচল প্রদেশকে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানকার মাটি এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ নিয়ে তারা গবেষণা করেছেন। সেখান থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। যেভাবে হিমাচল প্রদেশের মাটি নরম হয়ে গিয়েছে সেখান থেকে এখানে বেশিদিন ধরে মানুষ বসবাস করতে পারবে না। পাশাপাশি ধসের পর গোটা এলাকার ভৌগলিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে এখানকার মাটি ৫.৯ ডিগ্রি নিচের দিকে ঢলে পড়েছে। ফলে এখানকার পাহাড়ি এলাকা ১৬.৪ ডিগ্রিতে রয়েছে। যদি এখান থেকে আরও ১৬০০ মিটার উপরে ওঠা যায় তাহলে সেখান থেকে দেখা যাবে গোটা এলাকার একদিক ইতিমধ্যে বসে গিয়েছে বা হেলে গিয়েছে। যদি এই পরিস্থিতি আগামী কয়েকবছর ধরে চলতে থাকে তাহলে সেখান থেকে ধস এবং বন্যা বাড়বে। তখন এখানকার বাসিন্দাদের এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া পথ থাকবে না।
রিপোর্ট থেকে দেখা গিয়েছে মাটি এবং পাহাড় যখন ৩০০০ মিটার ঢাল তৈরি করবে তখন এই জায়গাটি প্রবল ক্ষতিকর হিসাবে বিবেচিত হবে। সেই সময় থেকে এখানে বিরাট পরিবর্তন আসবে। পাহাড়ের গঠনের পরিবর্তনের পাশাপাশি বিভিন্ন নিচু এলাকা জলের নিচে চলে যাবে।
ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে প্রবল আলোচনা। কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে। তবে রিপোর্ট থেকে বলা হয়েছে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। ফলে সেখান থেকে এত দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব নয়। প্রতিবছর বৃষ্টিতে এখানকার মাটি অনেকটাই নরম হয়ে গিয়েছে। এখানকার পরিস্থিতি এখান থেকে বদলানো সম্ভব হবে না।
