আজকাল ওয়েবডেস্ক:  ১৫ জনেরও বেশি মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ২৬ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত আড়াই বছরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিবাহ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে মেয়ে খোঁজা হয়। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। ঠিক কার বিরুদ্ধে ওঠে এই অভিযোগ? 

 


জানা গিয়েছে, ওই অভিযুক্তের নাম হিমাংশু যোগেশভাই পাঞ্চাল। তিনি আমেদাবাদের বাসিন্দা। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মগুলিতে একটি জাল প্রোফাইল তৈরি করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ওই যুবক নিজেকে সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত দিল্লির অপরাধ শাখার একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।  

 


ঠিক কী জানা গিয়েছে? অভিযুক্তরা, মহিলাদের প্রলুব্ধ করার জন্য ভুয়ো প্রোফাইল ব্যবহার করতেন। সেখানে জানাতেন, তাঁর প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। এরপর বিয়ের সাইটে তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তিনি। সেই সাক্ষাতের সময় তাঁরা নকল হীরের গয়না দিত, এমনকী তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হত। শুধু যৌন শোষণই নয়, বাইরেও জরুরি পরিস্থিতিতে টাকা আদায় করতেন বলে অভিযোগ। আর্থিক ও শারীরিক সুবিধে নেওয়ার পর তিনি সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতেন। এর ফলে ভুক্তভোগীরা বিধ্বস্ত হয়ে পড়তেন।

 


কীভাবে প্রকাশ্যে এল এই জালিয়াতি? 
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মীরা রোডের ৩১ বছর বয়সী এক মহিলা ওয়ালিভ পুলিশের কাছে গেলে এই প্রতারকের কাহিনি সামনে আসে। তিনি জানান, পাঞ্চাল একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। এরপর একটি হীরার নেকলেসও উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। পরে পুরোটাই জাল বলে সামনে আসে। এরপর তাঁকে ধর্ষণ করেন বলেও অভিযোগ। এমনকী তিনি ভাসাই এবং আহমেদাবাদের দুটি হোটেলের বিবরণ পুলিশকে দেন। 

 


ঠিক কীভাবে ঘটে এই ঘটনা? 
ওয়ালিভ থানার পুলিশ শচীন সনাপ প্রকাশ করেছেন পাঞ্চাল কথা বলতেন খুব সহজ ভাষায়। এইভাবেই সে তাঁর শিকারদের ধরত। তাঁর মিষ্টি কথাবার্তা এবং ভাল ইংরেজি দিয়ে মহিলাদের মুগ্ধ করতেন। জানা গিয়েছে, এই অপারেশন চালানোর সময়, তিনি পাঁচটি ফোন এবং একটি অ্যাপলের ল্যাপটপ ব্যবহার করতেন। পুলিশ শেষপর্যন্ত পাঞ্চালের ডিজিটাল পদচিহ্ন খুঁজে বের করে আমেদাবাদে। এরপর সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পাঞ্চাল আরও মহিলাদের লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।