আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভরা মরসুমে পর্যটকদের ভিড়ে মিশে গিয়েছিল জঙ্গিরা। এরপর সুযোগ বুঝেই পহেলগাঁওয়ে পরপর গুলি চালায় তারা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের প্রাণ গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কর্নাটকের শিবমোগার এক ব্যক্তিও। স্ত্রী পল্লবী ও ছেলের সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনায় হতবাক সদ্য স্বামীহারা পল্লবী। স্বামীর নিথর দেহের পাশে বসে পল্লবী হামলার ভয়াবহ মুহূর্তগুলি বর্ণনা করছিলেন। বলেন, "আমরা তিনজন - আমি, আমার স্বামী এবং আমাদের ছেলে কাশ্মীরে গিয়েছিলাম। আমার মনে হয় দুপুর দেড়টা নাগাদ এই হামলা ঘটেছিল। আমরা পাহেলগাঁওতে ছিলাম। আমার চোখের সামনেই ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।"
পল্লবী আরও জানান যে, হামলার পরপরই স্থানীয় লোকেরা তাঁকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। বলেন, "স্থানীয় তিনজন লোক আমাকে উদ্ধার করেন।"
এরপরই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা সামনে আসেন পল্লবী। তাঁর দাবি, আক্রমণকারী জঙ্গিরা হিন্দুদের নিসানা করেছিল। তিনি বলেন, "তিন থেকে চারজন লোক আমাদের উপর আক্রমণ করেছিল। আমি তাদের বলেছিলাম, আমাকেও মেরে ফেলো, তোমরা ইতিমধ্যেই আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছ। দুষ্কৃতীদের মধ্যে একজন বলল, আমি তোমাকে মেরে ফেলব না। যাও, মোদিকে এটা বলো।"
নিহতের স্ত্রী পল্লবী প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন যাতে তাঁর স্বামীর মৃতদেহ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিবমোগায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, "মৃতদেহ সহজে নামানো যাবে না। বিমানে করে নিয়ে যেতে হবে। আমরা চাই দেহ অবিলম্বে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক।"
কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, সোশাল মিডিয়া পোস্টে হামলার নিন্দা করেছেন। বলেন, "এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কন্নড়রাও রয়েছেন। খবর পেয়ে, আমি একটি জরুরি সভা ডেকেছি এবং মুখ্য সচিব এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। আমি দিল্লির আবাসিক কমিশনারের সঙ্গেও কথা বলেছি।"
ঘটনাসমুহ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সিদ্দারামাইয়া। তাঁর আশ্বাস, প্রয়োজনীয় সকল সহায়তা প্রদান করা হবে। বলেন, "দয়া করে নিশ্চিত থাকুন, কর্নাটক সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে।"
