আজকাল ওয়েবডেস্ক:   বিকেলের জলখাবারে অন্যতম হিট জুটি চায়ের সঙ্গে সিঙাড়া। পেট ভরাতে মুখরোচক এই খাবারের জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু দোকান থেকে কেনা সিঙাড়া ভেঙে মুখে দিতে গিয়ে যদি পাওয়া যায় ‘ব্যাঙের ঠ্যাং’। এই অভিযোগ উঠে আসছে গাজিয়াবাদ থেকে। সেখানকার এক মিষ্টির দোকানকে কেন্দ্র করে শোরগোল।

 

অভিযোগ, ওই মিষ্টির দোকান থেকে কেনা সিঙারায় মিলেছে ব্যাঙের ঠ্যাং। এহেন খবর প্রকাশ্যে আসতেই বে়ড়েছে উদ্বেগ। জানা গিয়েছে, ইন্দিরাপুরমের ওই মিষ্টির দোকান থেকে সিঙাড়া কিনেছিলেন এক ক্রেতা। সিঙ্গারা ভেঙে মুখে দিতে গিয়েই যত বিপত্তি। মুখরোচক ওই খাবারের মধ্যে কালো রংয়ের একটি বস্তু দেখতে পান ওই ক্রেতা। অভিযোগ, সিঙাড়ার মধ্যে ওই কালো বস্তটি ব্যাঙের ঠ্যাং। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ওই দোকানে। 

 

অভিযাগকারীর পাশাপাশি মালিক ও কর্মীদের ঘিরে ধরেন মিষ্টি কিনতে আসা বাকি ক্রেতারা। সাধারণ মানুষের তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বিক্রেতাকে। সিঙাড়ায় থাকা ওই কালো বস্তু আদৌও ব্যাঙের ঠ্যাং কি না, তা সঠিকভাবে না জানা যায়নি। তবে খাবারে অস্বাস্থ্যকর এবং অপ্রয়োজনীয় বস্তু থাকার দায়ে বেকায়দায় পড়েছেন দোকান মালিক। দোকান ঝাঁ-চকচকে হলেও গাজিয়াবাদের ওই মিষ্টির দোকানের খাবার স্বাস্থ্যসম্মত বিধি মেনে তৈরি হয় না। এমন অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। দোকান মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ওই দোকান থে্কে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

 

দেশের বহু মানুষকেই পেশাগত বা নানা কারণে রাস্তার খাবারে খেতে হয়। পাশাপাশি নিছক মনোরঞ্জন বা অবসরযাপনের জন্যও স্ট্রিটফুড বিশেষ জনপ্রিয়। কলকাতা, মুম্বই সহ দেশের অন্যান্য জায়গার বিশেষ বিশেষ স্ট্রিট ফুডের খ্যাতি রয়েছে বিদেশেও। সম্প্রতি বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে সেই স্ট্রিটফুড বা দোকান থেকে কেনা মুখরোচক খাবারের গুণগত মান। কখনও অভিযোগ আইসক্রিমে পাওয়া যাচ্ছে মানুষের আঙুল। আবারও কখনও দাবি চকলেট সিরাপের বোতলে পাওয়া যাচ্ছে ইদুরের দেহ। কখনও ডালে মৃত আরশোলা ভাসছে বলে অভিযোগ। এবার গাজিয়াবাদের এই অভিযোগ। যা রীতিমতো আতঙ্কের। খাদ্যের গুণগত মান নিয়ে একের পর এক এই ধরনের অভিযোগ উদ্বেগ বাড়িয়েছে দেশের আম জনতারও।