আজকাল ওয়েবডেস্ক: ধুলোঝড়ে বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লি। এর জেরে শুক্রবার রাত থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা ব্যাহত হয়েছে। অন্তত ২০৫ বিমান উড়ানে দেরি হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে সেগুলো উড়েছে। অন্তত ৫০টি বিমান দিল্লি বিমানবন্দরে নামতেই পারেনি। সেগুলিকে নিকটবর্তী অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে অন্তত সাতটি বিমান। দিল্লি বিমানবন্দরের একাংশে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা। অনেকেই আটকে পড়েন। শুক্রবার ধুলোঝড়ের সময়ে হাওয়ার ধাক্কায় পূর্ব দিল্লিতে এক নির্মীয়মাণ বহুতলের দেওয়াল ভেঙে এক জন মারা যান। আহত অন্তত দু’জন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক দিন ধরে টানা তাপপ্রবাহ চলছিল দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়। তাপমাত্রা কোথাও কোথাও ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে আচমকা ধুলোঝড় হয় দিল্লিতে। সঙ্গে ছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এরপর শুক্রবার সন্ধেয় ফের দিল্লির বিস্তীর্ণ অংশে ধুলোঝড় হয়।
শুক্রবার দিল্লি থেকে অনেক বিমান নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। যে বিমানগুলি দিল্লি বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল, তার বেশ কয়েকটি চণ্ডীগড়ে অবতরণ করে। রাত থেকে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি সময় বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন যাত্রীরা। এক যাত্রী দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩–এর কাছে চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ জানিয়েছেন। সেখানে পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ‘প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিমান চলাচলে দেরি হচ্ছে। যাত্রীদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য তাদের নিজ নিজ বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেকোনও অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
ধুলোঝড়ের ফলে দিল্লি শহরের একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে। রাস্তা আটকে যাওয়ায় যানজট তৈরি হয়। গাছে চাপা পড়ে যায় গাড়ি এবং বাইক। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার রাতে দিল্লিতে লাল সতর্কতা জারি করেছিল মৌসম ভবন। আরও দু’এক দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। ধুলোঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে। দমকা হাওয়ার গতি পৌঁছে যেতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত। বজ্রপাত নিয়েও সাবধান করা হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি কেটে গেলে গরম যে ফের বাড়বে তা জানিয়েছে মৌসম ভবন। এদিকে ধুলোঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানাতেও।
