আজকাল ওয়েবডেস্ক: ১৯৬০ সাল থেকে ভারতের এই রাজ্যে মদ্যপান এবং মদ বিক্রি করা নিষিদ্ধ। এই রাজ্যের থেকে প্রথম ব্যাঙ্ককগামী বিমানে পরিবেশন করা হয়েছিল দামী মদ। ব্যাস আর কে পায়। চার ঘণ্টার যাত্রাপথ শেষ হওয়ার আগেই ফুরিয়ে গেল প্রায় দু'লক্ষ টাকা দামী মদ। যাত্রীদের দাবি মেটাতে না পেরে বিমানসেবিকাদের ঘোষণা করে জানাতে হল যে বিমানে মদ শেষ হয়ে গিয়েছে।
কথা হচ্ছে গুজরাটের। গত শুক্রবার সুরাট থেকে ব্যাঙ্ককগামী পরিষেবা চালু করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। শুক্রবার প্রথম বিমানটি সুরাত থেকে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিমানটির সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। হাউসফুল বিমানে যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
সর্বাভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাত্রীরা চার ঘণ্টার যাত্রাপথে ব্যাঙ্কক পৌঁছনোর প্রায় ১৫ লিটার দামী মদ শেষ করে ফেলেছেন। বাধ্য হয়ে বিমান কর্মীদের ঘোষণা করে জানাতে হয় যে মদ শেষ। যাত্রীরা বাড়ি থেকে তাঁদের পছন্দসই খাবার নিয়েই বিমানে উঠেছিলেন।
তবে এই খবরে ভ্রু কুঁচকে গিয়েছে অনেকেরই। সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিমানটিতে ৩০০ জন যাত্রাী ছিলেন। এক জন প্রশ্ন করেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি ছিল এয়ারবাস বা বোয়িং ৭৩৭। এই বিমানটিতে ৩০০ জন যাত্রী ধরানো যায় না। এর বহন ক্ষমতা ১৭৬ জন যাত্রীর। সেই অনুযায়ী প্রত্যেক যাত্রী ৮৫ মিলি-র বেশি মদ্যপান করেননি।
এই ঘটনায় ফের গুজরাতে মদের উপর নিষেধাজ্ঞায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ১৯৬০ সালে বম্বে ভাগ হয়ে মহারাষ্ট্রে এবং গুজরাত হওয়ার পর থেকে গুজরাতে মদ তৈরি এবং বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ২০২৩ সালে পর্যটকদের আকর্ষিত করতে কিছু নির্দিষ্টা জায়গায় মদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে ফুলেফেঁপে উঠেছে বেআইনি মদের ব্যবসা।
একজন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী বলেছেন, "এর থেকে স্পষ্ট যে গুজরাটের বাসিন্দারা মদ্যপান করতে পারেন এবং করতে চান৷ রাজ্য সরকারে উচিত নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করার। এর ফলে রাজস্ব আয়েরও সুযোগ আছে৷''
