আজকাল ওয়েবডেস্ক: ২৮ বছর বয়সী এক মহিলা কনস্টেবলের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। অনুমান করা হয়েছিল, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। কিন্তু তাঁর বাবার বিস্ফোরক দাবি। তিনি বলছেন, এটি আত্মহত্যা নয়, এটি খুন। মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মারা হয়েছে বলেই তাঁর সন্দেহ। সোমবার পুলিশ এই কথা জানিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আগ্রার বাইমান গ্রামের কৃষক কর্মবীর সিং। গত রবিবার তাঁর মেয়ে হেমলতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জোরালোভাবে বলেন, "আমার মেয়ে নিজে থেকে এমন কাজ করতে পারে না।" তাঁর অভিযোগ, প্রথমে শ্বাসরোধ করে মারা হয়, তারপর দেহটা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, কর্মবীর সিং এখনও পর্যন্ত কাগজে-কলমে কোনও অভিযোগ জমা দেননি।
হেমলতা রোড়াওয়ার পুলিশ স্টেশনে কাজ করতেন। তিনি বান্নাদেবী এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গত শনিবার ওই ঘরের ভেতরেই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বান্নাদেবী থানার প্রধান এস পি সিং জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি।
ডিআইজি প্রভাকর চৌধুরী সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, দেখে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যার ঘটনাই। কারণ পুলিশ যখন পৌঁছায়, তখন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করা ছিল। ওই কনস্টেবলের এক বন্ধু পুলিশকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি হেমলতার হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাস দেখে জানতে পারেন যে তিনি আত্মহত্যা করতে চলেছেন। এরপর পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে হেমলতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এর পিছনে সঠিক কারণ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ এই ঘটনার সমস্ত দিক তদন্ত করে দেখছে।
