আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটি ভাইরাল ভিডিও ফুটেজকে কেন্দ্র করে শ্রীক্ষেত্রে ধুন্ধুমার। ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জগন্নাথ ভক্তরা। শেষমেষ বাধ্য হয়ে হস্তক্ষেপ করছে শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।

কী এমন দেখা গিয়েছে ওই ভাইরাল ভিডিও ফুটেজে? সেখানে দেখা যাচ্ছে, শিশু-সহ ১০ জনের একটি পরিবার টেবিলে বসে মহাপ্রসাদ খাচ্ছেন। একজন সেবাইত তাঁদের সেই মহাপ্রসাদ পরিবেশন করছেন। সেই সময়ই এক ব্যক্তি মহাপ্রসাদ খাওয়ার এই রীতি-নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

জবাবে ওই পরিবারটির এক মহিলা সদস্যা জানান, তাঁরা আগেই খোঁজখবর নিয়েই মহাপ্রসাদ টেবিলে বসে খাচ্ছেন।

ছাড়বার পাত্র নন ওই ব্যক্তিও। তিনি সোজা মহাপ্রসাদ পরিশনকারী সেবাইতের কাছে জানতে চান যে, তিনি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই রকম নিয়মভঙ্গ মেনে নেওয়া হচ্ছে?

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">May 17, 2025

এই ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই, জগন্নাথ ভক্তরা রে রে করে ওঠেন। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই ঘটনায় 'শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ' হস্তক্ষেপ করে একটি বিবৃতি জারি করেছে। জানিয়েছে যে, একটি পরিবারকে টেবিলে বসে মহাপ্রসাদ খাওয়ার ভিডিওটি সম্পর্কে তারা অবগত, যা ঐতিহ্যের পরিপন্থী এবং ভক্তদের মধ্যে "তীব্র প্রতিক্রিয়া" তৈরি করেছে।

শ্রী জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষজানিয়েছে যে, টেবিলে মহাপ্রসাদ খাওয়া ঐতিহ্যের পরিপন্থী এবং ভক্তদের মন্দিরের শতাব্দী প্রাচীন রীতিনীতি মেনে মেঝেতে বসে তা খাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ, 'ভগবানের ঐশ্বরিক মহাপ্রসাদ অন্নব্রহ্ম রূপে পূজা করা হয়। মাটিতে বসে মহাপ্রসাদ খাওয়ার রীতি প্রাচীনকাল থেকেই বিদ্যমান। অতএব, সমস্ত ভক্তদের বিনীতভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে যে, তারা ঐতিহ্যের পরিপন্থী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকুন, যেমন খাবারের টেবিলে মহাপ্রসাদ খাওয়া খাওয়া যায় না।" 

স্থানীয় অনুভূতি এবং ধর্মীয় বিশ্বাস বিবেচনা করে, মন্দির কর্তৃপক্ষ পুরীর হোটেলগুলিকেও তাদের অতিথিদের এই ধরনের অভ্যাস থেকে সতর্ক করার নির্দেশ দিয়েছে।