আজকাল ওয়েবডেস্ক: বলিউড তারকা সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনার পর ৫০ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও অধরা অভিযুক্ত। অভিনেতার শরীরে ছ’টি ক্ষত রয়েছে বলে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে। ঘটনার পর তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় সইফকে। এইমুহূর্তে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। সইফের আবাসনের আশেপাশের এলাকায় একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে মুম্বই পুলিশ। ইতিমধ্যেই যে অটো চালক ৫৪ বছর বয়সী অভিনেতাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি বান্দ্রা থানায় গিয়ে নিজের বয়ান রেকর্ড করেছেন। অভিনেতার ওপর হামলার ঘটনায় গোটা দেশ স্তব্ধ। তবে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে রীতিমত হিমসিম খেতে হচ্ছে মুম্বই পুলিশকে। এর আগে জানা গিয়েছিল, ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।

 

তবে পরে পুলিশ জানায় আটক ব্যক্তির সঙ্গে ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। সইফকে ইতিমধ্যেই আইসিইউ থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন এবং স্বাভাবিক ভাবে খাওয়াদাওয়া শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে। শুক্রবার রাতে মুম্বাই পুলিশ সইফ আলি খানের বাড়ির আশেপাশে স্থানীয় দোকানদার ও সাধারণ মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানা গিয়েছে। যে সমস্ত দোকান রাত পর্যন্ত খোলা থাকে, সেই সমস্ত দোকানের মালিকদের বান্দ্রা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

 

গোটা রাত ধরে ১৫ জনেরও বেশি দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এমন কিছু ব্যক্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যারা ওই এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। নতুন এক সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সইফ আলি খানের ওপর আক্রমণের ঘটনায় অভিযুক্ত দাদারের একটি হোটেলের কাছে একটি মোবাইল স্টোর থেকে হেডফোন কিনেছে। শুক্রবার রাত ন’টা নাগাদ মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ ওই হোটেলের আশেপাশের এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে।

 

প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতেই ছুরির কোপে গুরুতর আহত হন নবাব পুত্র। বুধবার গভীর রাতে বান্দ্রা এলাকায় অভিনেতার বহুতল আবাসনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাঁদের সঙ্গে হাতাহাতি বাধে বলি-তারকার। সেই সময়ই সইফের হাতে, ঘাড়ে, মেরুদণ্ডে ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছে। পুলিশের দাবি, সইফকে একাধিকবার কোপায় দুষ্কৃতী। তারপর চম্পট দেয়। শুরু হয়েছে জোর পুলিশি তদন্ত।