আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে হিমাচল প্রদেশে মান্ডি জেলার ১৭৬টি সহ ২৬০টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস রবিবার কাংড়া, সিরমৌর এবং মান্ডি জেলার বিচ্ছিন্ন স্থানে খুব ভারী থেকে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য 'লাল' সতর্কতা জারি করেছে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উনা, বিলাসপুর, হামিরপুর, চাম্বা, সোলান, সিমলা এবং কুলু জেলার জন্য বিচ্ছিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য 'কমলা' সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণত দিনে ১১৫.৬ মিমি থেকে ২০৪.৪ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাতকে ভারি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে ২০৪.৪ মিমি এর বেশি বৃষ্টিপাতকে অতি ভারি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। গত বছর ভারি বর্ষণে রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আনুমানিক ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

আবহাওয়া বিভাগ সম্ভাব্য ভূমিধস, আকস্মিক বন্যা, জলাবদ্ধতা,  ঝুঁকিপূর্ণ কাঠামো, ফসল এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবার ক্ষতির বিষয়ে সতর্ক করেছে। জনগণকে জলাশয় থেকে দূরে থাকতে ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য জরুরি অপারেশন সেন্টার (SEOC) অনুসারে, এখনও পর্যন্ত আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫৪১ কোটি টাকা। 

সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৩০০টি ট্রান্সফরমার এবং ২৮১টি জল সরবরাহ প্রকল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জোগিন্দরনগরে ৫২ মিমি, নাহান ও পালামপুরে ২৮.৮ মিমি, পাওন্তা সাহেবে ২১ মিমি, উনায় ১৮ মিমি, বার্থিনে ১৭.৪ মিমি, কাংড়ায় ১৫.৬ মিমি এবং নয়না দেবীতে ১২.৬ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ২০ জুন বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে রাজ্যে মোট ৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জনের মৃত্যুর কারণ বৃষ্টিপাতজনিত। 

মঙ্গলবার মান্ডি জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। কর্মকর্তারা আরও জানান, নিখোঁজ ৩১ জনকে খুঁজে বের করার জন্য বর্তমানে অনুসন্ধান অভিযান চলছে। আবহাওয়া অফিস শনিবার, সোমবার এবং মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি জেলায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের জন্য 'কমলা' সতর্কতা জারি করেছে।