আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিওয়ালি গিফট, দিওয়ালি বোনাস। দীপাবলির আগে, এসবের অপেক্ষা থাকে বছরভরের। কারণ বহু সংস্থা, দীপাবলির আগে কর্মীদের জন্য বিশেষ বোনাস, উপহারের ব্যবস্থা করে। চলতি বছরে আবার ব্যাপক চর্চা হয়েছে বেশকিছু সংস্থার ‘দিওয়ালি গিফট’ নিয়ে। কোনও সংস্থা কর্মীদের গাড়ি উপহার দিয়েছে। কোনও সংস্থা আবার ট্রলি সাজিয়ে দিয়েছে কর্মীদের। সেসবের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। আবার দিওয়ালি বোনাস না পেয়ে কর্মীদের রাগের প্রকাশও সামনে এসেছে। এবার আলোচনায় অন্য এক ঘটনা।
एक फ़ैक्ट्री ने इस बार दिवाली पर वर्करों को बोनस की जगह सोहनपपड़ी का डिब्बा दे दिया। विरोधस्वरूप -वर्करों ने सारे डिब्बे फ़ैक्ट्री के गेट पर ही छोड़ दिए। pic.twitter.com/sKKggeoT28
— ???????? ???????????????????? (@mktyaggi)Tweet by @mktyaggi
হরিয়ানার এক ফ্যাক্টরির সামনে কর্মীদের বিক্ষোভের একটি ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও আজকাল ডট ইন ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি, তবে ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ফ্যাক্টরির দরজার দিকে একের পর এক প্যাকেট ছুড়ে দিচ্ছেন কর্মীরা। জানা গিয়েছে, ওই প্যাকেট তাঁদের ‘দিওয়ালি উপহার’। সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু প্যাকেট খুলেই ক্ষোভ। কর্মীরা জানাচ্ছেন, গতানুগতিকভাবে এবারেও প্যাকেটের ভিতরে দেওয়া হয়েছে সোনপাপড়ি। আর তাতেই ক্ষেপে লাল।
সোনপাপড়ি চান না, বলে ক্ষোভ দেখান। প্যাকেট ছুড়ে মারেন ফ্যাক্টরির দরজার দিকে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কর্মীরা জানিয়েছেন ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়েছিল, তাঁদের এবার দিওয়ালিতে বোনাস দেওয়া হবে নগদ টাকা। কিন্তু দিওয়ালি এগিয়ে আসার সময়, নগদ টাকা বোনাসের পরিবর্তে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি সোনপাপড়ির প্যাকেট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নানা জনে নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ যেমন লিখেছেন তাঁরা কর্মীদের মনের অবস্থা বুঝতে পারছেন। কেউ আবার বলছেন সংস্থা কর্মীদের বোনাস হিসেবে কী দেবে, না দেবে সেটা একান্তই সংস্থার সিদ্ধান্ত। সংস্থা ঠিক করবে কর্মীদের জন্য কী উপহার দেওয়া হবে কোন বছর। অনেকেই আবার ভাইরাল ভিডিওর কমেন্টে লিখেছেন, কর্মীরা বহু ক্ষেত্রে সংস্থার পরিস্থিতি বুঝতে চান না। একজন নিজের ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানিয়েছেন, তাঁর খারাপ সময়ে, যখন সংস্থা ভাল চলছিল না, তখনও কর্মীরা সংস্থার কথা না ভেবে, কেবল নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবতেন।
সোমবারে সামনে এসেছিল আরও এক ঘটনা। দিওয়ালি বোনাস না এয়ে, কর্মীদের ক্ষোভ। ওই বিভাগের কর্মীরা, দিওয়ালি বোনাস পাননি। আর তাতেই চটলেন বেজায়। রাগে-ক্ষোভে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, তাতে কয়েক ঘণ্টায় ক্ষতি হয়ে গেল বিশাল অঙ্কের। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার আগ্রা-লখনউ এক্সপ্রেসওয়ের ফতেহাবাদ টোল প্লাজায় হাজার হাজার যানবাহন টোল-ফি না দিয়েই নিশ্চিন্তে টোল প্লাজা পেরিয়ে গিয়েছে। কেন এই ঘটনা ঘটেছে? জানা গিয়েছে, দীপাবলি বোনাস না পাওয়ার প্রতিবাদে কর্মীরা ধর্মঘট ডাকেন, বহু কর্মী সেই ধর্মঘটে যোগদান করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন, তাঁরা যখন ধর্মঘটে বসবেন, তখন খুলে দেবেন টোল প্লাজা। অর্থাৎ নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা না দিয়েই অবাধে যাতায়াত করতে পারবে যানবাহনগুলি। হয়ও তাই।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে একাধিক সূত্রে, এমন বেশকিছু ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, যানবাহনগুলি কোনও কর পরিশোধ ছাড়াই টোল অতিক্রম করছে। কর্মীদের এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের কয়েক ঘণ্টায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছে একাধিক মহল।
একইসঙ্গে উল্লেখ্য, এক্সপ্রেসওয়েটি উত্তরপ্রদেশের জন্য একটি প্রধান সড়ক হিসেবে কাজ করে। এটি আগ্রা এবং লখনউয়ের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে। এবং যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে দিল্লি এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের সঙ্গেও সংযোগ স্থাপন করে।
