আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজকাল ওয়েবডেস্ক: ওড়িশার কান্ধমাল জেলায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। জেলার ফিরিঙ্গিয়া ব্লকের সালাগুডার সেবাশ্রম স্কুলের হোস্টেলে রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ৮ জন ছাত্রের চোখে ফেভিকুইক আঠা ঢেলে দেয় কিছু সহপাঠী। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই আক্রান্ত ছাত্রদের চোখের পাতা চিপকে যায়। কোনওভাবেই তারা চোখ খুলতে পারে না।
বুধবার গভীর রাতে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্কুল ক্যাম্পাসে। আহত ছাত্রদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় গচ্ছাপাড়া হাসপাতাল। পরে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফূলবানি জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, আঠার কারণে ছাত্রদের চোখে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় গুরুতর বিপদ এড়ানো গেছে। এখন পর্যন্ত একজনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, বাকি সাতজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চরম নৈতিক অবক্ষয়, ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ওড়িশার সিভিল সার্ভিস টপার!
ঘটনার পরই জেলা প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নেয়। স্কুলের প্রধানশিক্ষক মনোরঞ্জন সাহুকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রশাসন খতিয়ে দেখছে কীভাবে আঠার মতো বিপজ্জনক জিনিস ছাত্রদের হাতে পৌঁছল এবং হোস্টেলের ভেতরে এমন ঘটনা ঘটল অথচ কর্তৃপক্ষ টের পেল না।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদনের নিষ্পত্তির করতে হবে দু'মাসের মধ্যে, দেশের সব হাইকোর্টকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত
জেলা কল্যাণ দপ্তরের আধিকারিক হাসপাতালে গিয়ে আহত ছাত্রদের খোঁজখবর নেন। কান্ধমালের কালেক্টর ইতিমধ্যেই বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, “ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। কীভাবে হোস্টেলের ভেতরে এই ঘটনা ঘটল, কারা দায়ী, সব খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন: আবারও জোর তোড়জোড়! মাতা বৈষ্ণো দেবীর পবিত্র গুহা মন্দিরে যাত্রা শুরু হচ্ছে আগামী ১৪ই সেপ্টেম্বর থেকে
বিদ্যালয়ের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও হোস্টেল ওয়ার্ডেনদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যে, হোস্টেলের ভেতরে নিরাপত্তার অভাবের জন্যই এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে। শিশুদের হাতে কীভাবে বিপজ্জনক আঠা পৌঁছল, তা নিয়েও প্রবল সমালোচনা চলছে।
বর্তমানে আক্রান্ত ছাত্ররা চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকরা আশা করছেন, সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে স্থায়ী ক্ষতির ঝুঁকি কম থাকবে। তবে এই ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হোস্টেল নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।
