আজকাল ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তান নৌবাহিনীকে এখন ভারতের জলসীমায় প্রবেশ করার আগে অন্তত একশো বার ভাবতে হবে। কারণ ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও এবং ভারতীয় নৌবাহিনী মাল্টি-ইনফ্লুয়েন্স গ্রাউন্ড মাইন (এমআইজিএম) সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। এটি একটি একটি জলের নীচে কর্মক্ষম উন্নতমানে মাইন।
বিশাখাপত্তনমে অবস্থিত ন্যাভাল সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি ল্যাব এবং ডিআরডিও যৌথভাবে এই মাইনটি তৈরি করেছে। এর ফলে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি ব্যাপক বৃদ্ধি হবে। শত্রুর যে কোনও গোপন জাহাজ হোক বা সাবমেরিন, কেউই এর থেকে পালাতে পারবে না।
সমুদ্রে মাইন রাখার প্রথা বহু পুরনো। ভারতীয় নৌসেনা এখনও পর্যন্ত নানা ধরণের মাইন ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু নতুন মাইনটিতে অনেকগুলি মাইনের বৈশিষ্ঠ্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
#DRDO and Indian Navy today successfully conducted validation trial of Multi-Influence Ground Mine. This system will further enhance undersea warfare capabilities of #IndianNavy. pic.twitter.com/aE69b8Mpf9
— Defence Decode® (@DefenceDecode)Tweet by @DefenceDecode
তিন ধরণের সেন্সরের উপর নির্ভর করে কাজ করে মাইনটি। চৌম্বক, শব্দ এবং চাপ এই ধরণের উপর নির্ভরশীল। চাপের উপর নির্ভর করে জলের তলায় ভেসে থাকে। কিন্তু যদি কোনও জাহাজ বা ডুবোজাহাজ মাইনটির সামনে দিয়ে যায় তখন মাইনের উপর জলের চাপে পরিবর্তন হয়। সেন্সরে পরিবর্তন ধরা পড়তেই মাইন বিস্ফোরণ হয়। দ্বিতীয় প্রযুক্তি হল চৌম্বকীয় প্রভাব, যার মাধ্যমে এটি জলের মধ্যে যে ধাতুর গতিবিধি শনাক্ত করে। তৃতীয়টি হল অ্যাকোস্টিক প্রভাব, অর্থাৎ, এই মাইনের সেন্সরগুলি এর ফলে জলের নীচে তৈরি হওয়া শব্দ এবং কম্পন শনাক্ত করে এবং ট্র্যাক করে। মাইনটি একটি নির্দিষ্ট শব্দ তরঙ্গে বা কম্পনে সেট করা থাকে। কোনও জাহাজ বা ডুবোজাহাজের প্রপেলার থেকে আসা শব্দ পূর্বনির্ধারিত সীমার বাইরে চলে যায়, তাহলে এই মাইনটি সক্রিয় হয়ে যায়। এখন পর্যন্ত, নৌবাহিনীর ব্যবহৃত সমস্ত মাইন এই তিনটি প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি। তবে সবগুলিই ভিন্ন উপায়ে। এই নতুন মাইনটিতে তিনটিই প্রযুক্তিই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এটি দেশের প্রথম মাল্টি-ইনফ্লুয়েন্স স্মার্ট নেভাল মাইন যা লো সিগনেচার ডিটেকশন প্রযুক্তিতে সজ্জিত। যা শত্রু ব়্যাডার বা সোনার থেকে সহজেই আড়াল করা যেতে পারে। এটি স্মার্ট অ্যাক্টিভেশন লজিকের উপর কাজ করে। এটি এতটাই নির্ভুল যে ভুল অ্যাক্টিভেশনের সম্ভাবনা প্রায় নেই। NAVAREA সতর্কতা সমুদ্রে দীর্ঘদিন ধরে জারি করা হয়েছে। যখনই কোনও দেশের নৌবাহিনী তার এলাকায় ফায়ারিং ড্রিল পরিচালনা করে, তখন সেই এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়া বাণিজ্যিক জাহাজ, যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য মাছ ধরার নৌকাগুলিকে সতর্ক করা হয়। তবে যুদ্ধের ক্ষেত্রে, একই রকম মাইন ফিল্ড স্থাপন করে, কেবল নিজের এলাকাই নিরাপদ রাখা যায় না বরং শত্রুর আক্রমণও প্রতিহত করা যায়।
