আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। টিকমগড় শহরে সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। শহরের মাঝে প্রকাশ্যে এই নাটকীয় ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। এক ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি নগ্ন অবস্থায় শহরের দুটি ব্যস্ত এলাকা - গান্ধী চৌক ও ঘন্টাঘর দিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ঊর্ধশ্বাসে ছুটে বেড়ান। আর এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু মদ্যপ পুরুষ তাঁকে উত্যক্ত ও মারধর করে। এর ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে তিনি এমন আচরণ করেন।
চোখের সামনে এই আশ্চর্যজনক ঘটনা দেখেছেন এক ব্যক্তি রাজেশ। তিনি জানিয়েছেন, 'তিনি বারবার বলছিলেন যে কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করা হয়। তিনি সাহায্যের জন্য দৌড়াচ্ছিলেন, কিন্তু কেউ কিছু করতে পারছিল না।' তখন রাত ১০টা। রাত গভীর হতেই এই ঘটনা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে।
খবর অনুযায়ী, ভিডিওটি এক কংগ্রেস নেতার মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পুরো ঘটনার প্রেক্ষিতে আরও আলোচনার সূত্রপাত হয়। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ কে। খবর পেয়ে টিকমগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে পৌঁছে তারা ওই ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি সহযোগিতা না নিয়ে নগ্ন অবস্থায় রাস্তায় দৌড়তে থাকেন। এমনকী পুলিশের অনুরোধ সত্ত্বেও পোশাক পরতে অস্বীকার করেন।
পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে পুলিশ শেষ পর্যন্ত তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। শধু তাই নয়, থানার গাড়িতেও তিনি নগ্ন অবস্থাতেই ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে। এর পরে থানায় পৌঁছেও দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে যান।
আরও পড়ুনঃ শুয়ে পড়লেন টেবিলে, এরপরই পড়ুয়াদের দিলেন ডাক! শিক্ষিকার কাণ্ড দেখে চোখ ছানাবড়া
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি মূলত সাগরের বাসিন্দা। তবুও কিছুদিন ধরে টিকমগড়ে বসবাস করছেন বলে খবর। পুলিশের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা গিয়েছে যে ঘটনার দিন তিনি সত্যিই কিছু মদ্যপ পুরুষের দ্বারা হেনস্তার শিকার হন৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বর্তমানে দোষীদের খুঁজে বের করে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সোজা শোভাযাত্রায় এসে ধাক্কা! বেপরোয়া গাড়ি পিষে দিল তিনজনকে, মদ্যপ চালককে ঘিরে আলোড়ন
প্রসঙ্গত, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে টিকমগড় শহরে ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সম্মান নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনার জেরে অনেকেই বলছেন, সমাজে এই সম্প্রদায়ের প্রতি আরও সচেতনতা ও সহানুভূতির প্রয়োজন। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফ থেকেও আরও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে দাবি করছেন অনেকে৷
