আজকাল ওয়েবডেস্ক: তামিলনাড়ুর পাহাড়ি শহর কোডাইকানালের কাছে গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার হল ২৯ বছর বয়সী এক স্নাতকোত্তর পড়ুয়া ডাক্তারের মৃতদেহ। মৃতের নাম জোশুয়া সম্রাজ। অনলাইন জুয়া খেলার ফলে প্রচুর ঋণ হয়েছিল ওই চিরিৎসকের। ওইসব থেকে বাঁচতেই ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে শিরায় ওষুধ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে জোশুয়া। 

জোশুয়া সম্রাজ, ডিন্ডিগুল জেলার বেদচান্দুরের বাসিন্দা। তিনি ফিলিপিন্স থেকে ডাক্তারি পড়েছিলেন। মেডিকেল ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর তামিলনাড়ুর বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেছিলেন।

চার দিন আগে থেকেই জোশুয়াকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে তাঁর সন্ধানে জোশুয়ার আত্মীয়রা বেদচান্দুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এসবের মধ্যেই পুম্বারাইয়ের কাছে বেশ কয়েকদিন ধরে পার্ক করা একটি গাড়ি দেখে স্থানীয়রা কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিলেন।

অভিযোগ পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওই পার্ক করা গাড়ির মধ্যে থেকে চিকিৎসক জোশুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তখনই তাঁর শিরায় ওষুধ ইঞ্কেশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। তদন্তকারীরা মৃতের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেন, সেখানেই অনলাইন জুয়ার কারণে যথেষ্ট আর্থিক সঙ্কটের ইঙ্গিত মিলেছে। এই মৃত্যুর আরও তদন্ত চলছে।

২০২৫ সালের মার্চ মাসে, একজন বিশিষ্ট নেফ্রোলজিস্ট এবং সিনিয়র সার্জন ড. জর্জ পি আব্রাহামকে কেরলের এর্নাকুলাম জেলায় তাঁর ফার্মহাউস থেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তখন তাঁর বয়স ছিল ৭৪ বছর। কোচির একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের একজন সিনিয়র সার্জন, ড. আব্রাহাম তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে নেদুম্বাসেরির কাছে থুরুথিসেরির ফার্মহাউসে এসেছিলেন। এরপর এই ফার্মহাউসে ভাইকে রেখে এর্নাকুলাম জেলায় তাঁর নিজের ফার্মহাউসে ফিরে এসেছিলেন ড. জর্জ পি আব্রাহাম। সেই রাতে তাঁকে ওই ফার্মহাউস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি সুইসাইড নোট। সেখানে বলা হয়েছে যে, তিনি একই দক্ষতার সঙ্গে তাঁর চিকিৎসা অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছিলেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার ছয় মাস আগে  ড. জর্জ পি আব্রাহামের পিঠের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে হাত কাঁপতো।