আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের দ্রুততম ট্রেনের খেতাবপ্রাপ্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস সর্বোচ্চ ১৮০ কিমি/ঘন্টা গতিতে ছোটে। তবে বর্তমানে, বন্দে ভারত রেলপথে প্রায় ৮০-৯০ কিমি/ঘন্টা বেগে চলে। বন্দে ভারত ভারতে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আমরা যে ট্রেন সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে আলোকপাত করব সেটা বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুত গতির। গতি এতটাই দ্রুত যে,  চোখের পলকে অদৃশ্য হয়ে যায়! তাই এটিকে বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

এই ট্রেনটি বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন কেন?
ট্রেনের গতির ক্ষেত্রে, চীন আবারও এগিয়ে। দেশটি তার 'CR450' ট্রেনটি সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। এবং এই পরীক্ষামূলক রানের মাধ্যমে, এটি বিশ্বের দ্রুততম ট্রেনের খেতাবের দাবিদার।

কখন ট্রেনটি যাত্রীদের জন্য সম্পূর্ণরূপে চালু হবে?
জি-নিউজ হিন্দির এক প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের ‘CR450’ ট্রেনটি এখন বিশ্বের দ্রুততম হাই-স্পিড ট্রেন। এই ট্রেনের গতিবেগ রেকর্ড তৈরি করেছে। ‘CR450’-এর গতি ঘণ্টায় ৮৯৬ কিলোমিটার। ট্রেনটি জাপানের L0 সিরিজ ম্যাগলেভ-এর রেকর্ড ৬০৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতি অতিক্রম করেছে। 

‘CR450’ ট্রেনটি বর্তমানে একটি পরীক্ষামূলক রানের মধ্য দিয়ে গেছে, সাংহাই-চেংডু হাই-স্পিড রেল করিডোরে উচ্চ গতিতে পৌঁছেছে। এই উচ্চ-গতির রেল করিডোরটি ট্রেনের নিয়মিত পরিচালনার জন্যও অভিপ্রেত রুট।

CR450 ট্রেনটি পরীক্ষামূলক রানের সময় ৮৯৬ কিমি/ঘন্টা গতিচে ছুটেছে। যদিও এটি আসলে ৪০০ কিমি/ঘন্টা গতিতে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনার জন্য তৈরি। ট্রেনটি ৪ সেকেন্ডের মধ্যে ৩৫০ কিমি/ঘন্টা গতিতে পৌঁছানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে এবং বর্তমানে এটির পরিচালনাগত মূল্যায়ন চলছে।

এটি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বৈদ্যুতিক গতিতে পৌঁছানোর জন্য তারি করা হয়েছে এবং এর বেশ কয়েকটি বায়ুগতিগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এই দ্রুত গতির সহায়ক। যেমন- একটি বাজপাখির আকৃতির মত ট্রেনের সামনের অংশ, অন্যান্য ট্রেনের তুলনায় ২২ শতাংশ কম বাতাসে টানা, ২০ সেমি ছোট প্রোফাইল এবং একটি হালকা, পাতলা বডি। 

'CR450' ট্রেনটি তৈরি করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছে। চায়না একাডেমি অফ রেলওয়ে সায়েন্সেস এই ট্রেনটি তৈরি করেছে। তবে গতির সঙ্গে সম্পর্কিত বড় ঝুঁকি রয়েছে এতে। চায়না রেলওয়ে একাডেমির প্রধান ই্ডিনিয়র ঝাও হংওয়েই সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডেইলিকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, "যদি মোটর উইন্ডিংয়ের মধ্যে শর্ট সার্কিট হয়, তবে চৌম্বক ক্ষেত্রের কারণে মোটরটি বন্ধ হবে না।"