আজকাল ওয়েবডেস্ক: অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন। সোমবার,  ১০ নভেম্বর লাল কেল্লার কাছাকাছি যে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তাতে এক দিল্লি-নিবাসী অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয় এবং আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তি একটি রেডিট পোস্টে তাঁর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। জানিয়েছেন বিস্ফোরণের সময় তিনি ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০০ থেকে ৪০০ মিটার দূরে ছিলেন। 

পোস্টটির শিরোনামে ছিল, "ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমি বেঁচে আছি।" আহত পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা একটি ছবিও দিয়েছেন ব্যক্তি। তিনি জানান, ঘটনাস্থলের  আরও কাছে থাকলে কী হতে পারত, সেই কথা ভেবেই তিনি শিউরে উঠছেন।
 
অনলাইন কমিউনিটিতে ওই ব্যক্তি লিখেছেন, "বিস্ফোরণের সময় আমি ৩০০-৪০০ মিটার দূরে ছিলাম। লাল কেল্লায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। বিস্ফোরণের শব্দ শুনে কোনও কিছু না ভেবেই ছুটতে শুরু করি। সেই বিশৃঙ্খলার মধ্যে লাফ দিতে গিয়েই আঘাত পাই। এখনও বুঝে উঠতে পারিনি, এটা মচকে গেছে নাকি ভেঙে গেছে।"

দিল্লির এই বাসিন্দা জানান, ঘটনার পর থেকেই তিনি বারবার ভাবছেন, ওইদিন আরও ভয়ানক কিছু ঘটতে পারত। "জীবন সত্যি খুব অনিশ্চিত। পরের মুহূর্তে কী হবে, তা কেউ জানে না। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমি বেঁচে আছি। দিল্লির সকলে নিরাপদে থাকুন। প্রিয়জনদের কাছে টেনে নিন। যাঁরা চলে গেলেন, তাঁদের আত্মার শান্তি হোক," তিনি যোগ করেন।

পোস্টটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সমাজমাধ্যমে মানুষজন তাঁর প্রতি সহানুভূতি জানান। কেউ কেউ আবার এই মানসিক আঘাত থেকে মুক্তি পেতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেন।

কমেন্ট সেকশনে একজন লেখেন, "মানুষের জীবনে দু'টি অধ্যায়। দ্বিতীয়টি শুরু হয় যখন সে বোঝে জীবন একটাই। সাবধানে থেকো বন্ধু।" অন্য একজন মন্তব্য করেন, "সাহস হারিও না। আমি একজন ডাক্তার হিসেবে পরামর্শ দেব, এই অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নাও। তোমার জন্য শুভ কামনা রইল।"
অন্য একজন লিখেছেন, "এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। তুমি সুস্থ আছো জেনে ভালো লাগছে। সাবধানে থেকো। ঈশ্বরের আশীর্বাদ তোমার এবং তোমার প্রিয়জনদের সঙ্গে থাকুক।"

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যে তদন্তে সকল দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী দলগুলি বিস্ফোরণের আশেপাশের পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করছে। শীর্ষ নিরাপত্তা কর্তাদের সঙ্গে ঘটনার বিশদ বিশ্লেষণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তদন্ত রাজধানী ছাড়িয়েও বিস্তৃত হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ রাতভর বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত জঙ্গি মডিউলের তালিকায় নাম আসার পর শোপিয়ানের কর্তৃপক্ষ নদীগামের ইমরান ওরফে মৌলভির বাসভবনে নজর রেখেছে। পুলওয়ামায় তদন্তকারীরা অবসরপ্রাপ্ত পাটোয়ারি গুলাম মহম্মদ দারের ছেলে ৩৮ বছর বয়সী তারিক আহমেদ দার এবং খারপোরা সাম্বুরা থেকে একজন টিপার চালককে আটক করেছেন।