আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিবছর একপ্রকার আতঙ্ক তৈরি করে দিল্লির শীতকাল।  ব্যাপক ঠান্ডা, বায়ুদূষণ সব মিলিয়ে ভয়াবহ হয় পরিস্থিতি। দিল্লি সরকারের হিমশিম অবস্থা হয় পরিস্থিতি সামাল দিতে। এবার সেপ্টেম্বরেই দিল্লির সরকার ঘোষণা  করেছিল, শীত এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ২১টি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সরকার। যার মধ্যে ছিল প্রয়োজনে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার নিদান, তেমন ছিল কৃত্রিম বৃষ্টির প্রয়োগ।

তবে অক্টোবরের শুরুতে আইএমডি জানাচ্ছে, এবারেও জাঁকিয়ে পড়বে শীত। কিন্তু কেন? এর পিছনেও কি রয়েছে লা নিনা? ওয়ার্ল্ড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) মতে, এই বছরের শেষ নাগাদ লা নিনা শক্তিশালী হবে। আর ঠিক সেই কারণেই দিল্লি সহ একাধিক জায়গায় স্বাভাবিকের চেয়ে ব্যাপক হারে তীব্র হবে শীত। স্বাভাবিক ভাবেই আগে থেকে সবাইকে, বিশেষ করে ওই সময়ে শিশু-বয়স্কদের  সতর্ক করা হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড মেট্রোলজিকাল অরগনাইজেশন আগেই জানিয়েছিল চলতি বছরের শীতে প্রভাব ফেলবে লা নিনা। লা নিনার অর্থ শিশুকন্যা। এটি এল নিনোর বিপরীত অবস্থা। বায়ু সঞ্চলনের স্বাভাবিক অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে অক্ষরেখা বরাবর বায়ু পূর্ব দিকের উচ্চচাপ বলয় থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়।
 
এই অবস্থায় সমূদ্রের পৃষ্ঠের উষ্ণতা স্বাভাবিক উষ্ণতা অপেক্ষা ৪ ডিগ্রি কমে গেলে পেরু-চিলি উপকূল বরাবর যে শীতল সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয় তাকে লা-নিনা বলে। লা-নিনাকে মাঝে মাঝে বলা হয় এল-ভিয়েজো ও প্রতি এল-নিনো বা সহজভাবে 'এক শীতল ঘটনা'।
 
 প্রশান্ত মহাসাগরের নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রবাহিত দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু শক্তিশালী হলে সমুদ্রের পৃষ্ঠ পশ্চিম দিকে তাড়িত হয়। তখন পেরু ও ইকুয়েডর সংলগ্ন সমুদ্রের নীচ থেকে প্লাঙ্কটন মিশ্রিত শীতল জলের ঊধ্বগামী আর্বত ঘটে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলের তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। এই শীতল ঘটনা বা পর্যায়ের মাধ্যমেই লা-নিনার উৎপত্তি হয়। এই ঘটনাকে এল-নিনো দক্ষিণী দোলনের শীতল অবস্থা । তাই এবার শীতে ফের নিজের খেলা দেখাতে পারে লা নিনা।