আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার সন্ধে। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও তিনজন তিন চিকিৎসককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাথে যুক্ত তিনজন চিকিৎসকেরর নাম আলোচনায় আসার পর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। অন্যদিকে দিল্লি বিস্ফোরণের দায়িত্ব নিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা, এনআইএ। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য তেমনটাই।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দেশের রাষ্ট্রপতি, দ্রৌপদী মুর্মু অ্যাঙ্গোলা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন এবং দিল্লির ঘটনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ইতিমধ্যেই, পরিস্থিতি বিচারে দফায় দফায় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মঙ্গলবার সকালে থিম্পু থেকে প্রধানমন্ত্রীও দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে মুখ খোলেন। সাফ জানিয়ে দেন, সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিস্ফোরণের খবর মিলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার মৃত এবং আহতদের পরিবারের পাশে আছে। তিনিও নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি এখানে আসব বলে কথা দিয়েছিলাম। কিন্তু মন আমার অন্য দিকে পড়ে আছে। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভয়াবহ ঘটনায় গোটা দেশবাসীর মন খারাপ। আমি মৃতদের পরিবারের অবস্থা বুঝতে পারছি।'
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, 'রাতভর আমি এই ঘটনায় সঙ্গে যুক্ত সমস্ত এজেন্সি, প্রত্যেক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি কথা দিচ্ছি আমাদের এজেন্সি এর পূর্ণ তদন্ত করবে। এর পিছনে যাদের ষড়যন্ত্র আছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।'
তিনি আরও জানান, 'যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের প্রত্যেকের যথাযথ বিচার হবে।' উল্লেখ্য, দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। হাসপাতালেও আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
এই ঘটনায় গোটা দিল্লিতে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, হামলার উদ্দেশ্য ছিল আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং গ্রেপ্তারের পর জঙ্গি যোগাযোগের প্রমাণ নষ্ট করা।
দিল্লির লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) দল ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। শুধু তা–ই নয়, এনএসজি এবং ফরেন্সিক দলও রয়েছে ঘটনাস্থলে।
শুধু দিল্লিতে নয়, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কলকাতাতেো কড়া সতকর্তা জারি করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন শাহ। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তিনি।
সূত্রের খবর, ঘটনার পর পরই মোদির সঙ্গে কথা বলেন শাহ। তাঁকে পুরো পরিস্থিতি জানিয়েছেন বলে খবর। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে মর্মাহত। যাঁরা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা।’
পাশাপাশি, আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য তিনি প্রার্থনা করেন। মমতা ব্যানার্জি আরও বলেন, ‘আহতরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলো এই কঠিন সময়ে শক্তি খুঁজে পায়, সেই প্রার্থনা করি।’
