আজকাল ওয়েবডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে সাদা হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে৷ ঘটনার জেরে হু হু করে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা। সেই গাড়িটির একটি নতুন সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গিয়েছে, ফুটেজটি ২৯ অক্টোবরের। সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিট। জানা গিয়েছে ওই দিনই গাড়িটি সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমারু ডঃ উমর মোহাম্মদের কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, গাড়িটি একটি বুথের সামনে (দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্রে) রাখা আছে। সেখানে শার্ট পরা এক ব্যক্তি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও দুই দাড়িওয়ালা লোক সেখানে আসেন। একজন ধূসর টি-শার্টে, অন্যজন সাদা টি-শার্ট ও ব্যাকপ্যাক পরে। অনুমান করা হচ্ছে, ওই দুইজনের মধ্যে একজন হলেন তারিক মালিক, যিনি গাড়ি হাতবদলের বিষয়টি জানতেন।
এর আগে অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল, বিস্ফোরণের দিন অর্থাৎ সোমবার বিকেল ৩টা ১৯ মিনিটে গাড়িটি লালকেল্লার কাছে পার্কিং লটে ঢুকছে। গাড়ির জানালায় সন্দেহভাজন বোমারুর হাত দেখা গিয়েছিল। অন্য একটি ছবিতে তাকে নীল-কালো টি-শার্ট পরা অবস্থায় দেখা যায়। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ গাড়িটি সেখান থেকে বেরিয়ে যায়।
তদন্তকারীরা বলছেন, গাড়িটি পার্কিং লটে থাকার সময় সন্দেহভাজন বোমারু এক মুহূর্তের জন্যও গাড়ি থেকে নামেননি। তিনি হয় কারও নির্দেশের জন্য বা কারও আসার অপেক্ষায় ছিলেন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আই২০ গাড়িটির প্রথম মালিক মহম্মদ সলমন (যিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন) মার্চ মাসে গাড়িটি বিক্রি করেন দেবেন্দরকে। দেবেন্দর আবার তা বিক্রি করেন আমির রশিদকে। আর আমিরের কাছ থেকে তা পৌঁছয় উমর মোহাম্মদের হাতে। এই পুরো লেনদেনের সঙ্গে তারিক যুক্ত ছিলেন।
গোয়েন্দা মারফত খবর, বিস্ফোরণের আগে গাড়িটি মোট সাত বার হাতবদল হয়েছিল। সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণ ঘটে। ব্যস্ত এলাকায় ছিন্নভিন্ন দেহাংশ আর দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাড়ির দৃশ্য দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পরপরই বহু পুলিশকর্মী এলাকায় পৌঁছন। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের দ্রুত লোক নায়ক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন যে তদন্তের সকল দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী দলগুলি বিস্ফোরণের আশেপাশের পরিস্থিতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করছে। শীর্ষ নিরাপত্তা কর্তাদের সঙ্গে ঘটনার বিশদ বিশ্লেষণ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
তদন্ত রাজধানী ছাড়িয়েও বিস্তৃত হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ রাতভর বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত জঙ্গি মডিউলের তালিকায় নাম আসার পর শোপিয়ানের কর্তৃপক্ষ নদীগামের ইমরান ওরফে মৌলভির বাসভবনে নজর রেখেছে। পুলওয়ামায় তদন্তকারীরা অবসরপ্রাপ্ত পাটোয়ারি গুলাম মহম্মদ দারের ছেলে ৩৮ বছর বয়সী তারিক আহমেদ দার এবং খারপোরা সাম্বুরা থেকে একজন টিপার চালককে আটক করেছেন।
