আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির লালকেল্লায় বিস্ফোরণে জইশ-ই-মহম্মদ যোগ? বিস্ফোরণের নেপথ্যে জইশ যোগের সন্দেহে জোরকদমে চলছে তদন্ত। দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে গতকাল মঙ্গলবার তদন্তভার পেয়েছে এনআইএ। এবার লালকেল্লায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখার জন্য এনআইএ-র ১০ সদস্যের বিশেষ দল গঠিত হল।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, এনআইএ-র ১০ সদস্যের বিশেষ দলটির নেতৃত্ব দেবেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারে। এই বিশেষ দলেই রয়েছেন পুলিশের একজন আইজি, দু'জন ডিআইজি, তিনজন এসপি, ডিএসপি পদমর্যাদার একাধিক অফিসার।
বুধবারেই ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় সাখারে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, দিল্লি পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশের থেকে জইশ-ই-মহম্মদ মডিউল সংক্রান্ত যাবতীয় কেস ডায়েরি চাইবে এনআইএ।
সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের বাইরে বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই, রাত থেকে একাধিক জরুরি বৈঠক করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মঙ্গলবার সকালে নিজের বাসভবনেও উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন তিনি। এরপর গতকাল তদন্তভার দেওয়া হয় এনআইএ-কে।
তদন্তকারী দলের সদস্যরা এখনও পর্যন্ত এক হাজারের বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যকলাপ, দিল্লির বিভিন্ন এলাকা থেকে ফোনের তথ্য খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় কেঁপে উঠেছিল লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন চত্বর। সোমবার পর্যন্ত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ে। দিল্লি বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের পর লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনে পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ঐতিহাসিক লালকেল্লা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের জন্য আগামী তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকবে। দফায় দফায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার রাতেই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এর আগে হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত মুজাম্মিল তদন্তকারী আধিকারিকদের জেরায় জানিয়েছে, লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের বহু আগেই দিল্লিতে একাধিকবার বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল তাদের। সে এবং উমর একযোগে লালকেল্লা চত্বরটিও পর্যবেক্ষণ করেছিল। অভিযুক্ত মুজাম্মিলের ফোনের তথ্য ঘেঁটেই তাকে জেরা করতে শুরু করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, ২০২৬ সালে ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে বিস্ফোরণ ও হামলার ছক কষেছিল তারা। তার জন্য লালকেল্লা চত্বরটিই বেছে নিয়েছিল। যার জন্য নিয়মিত লালকেল্লার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করত। এমনকী চলতি বছরে দিওয়ালিতেও দিল্লির কোনও ভিড়ে ঠাসা এলাকায় বিস্ফোরণের পরিকল্পনা ছিল তাদের। পরে সেটি বদলে যায়।
