আজকাল ওয়েবডেস্ক: আহমেদাবাদ থেকে উড়ে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে শোকের ছায়া। বহু মানুষের মৃত্যু ও নিখোঁজের খবরে শোকস্তব্ধ গোটা জাতি। দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি একসময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর এই ‘অ্যাসেসমেন্ট ভিজিট’ ঘিরে ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলেও, বিতর্কও তৈরি হয়েছে ছবি তোলার ভঙ্গিমা এবং দৃশ্য নির্বাচন নিয়ে।
ছবিতে প্রধানমন্ত্রীকে একা দেখা গিয়েছে ধ্বংসস্তূপের মাঝে। অনেকেই বলছেন, বাস্তবের সঙ্গে এই দৃশ্যের ফারাক রয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রশাসন, উদ্ধারকারী দল, পুলিশ, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তাঁরা কারও ছবিতেই নেই। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে—একক নেতৃত্বের প্রচার কি বাস্তবতা ছাপিয়ে যাচ্ছে?
এই বিতর্ক নতুন নয়। ২০১৫ সালের চেন্নাই বন্যার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিমানের জানালা দিয়ে জলমগ্ন শহরের যে ছবি প্রকাশিত হয়েছিল, পরে জানা যায় তা ছিল সম্পাদিত। এমনকি ১৯৪৫ সালে বার্লিনে সোভিয়েত পতাকা উত্তোলনের ছবিতেও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল ‘এডিট’-এর। ফটোসাংবাদিকদের কাজ হলো সত্য ঘটনাকে তুলে ধরা। কিন্তু যখন রাষ্ট্র নিজেই ছবিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়, তখন সত্য চাপা পড়ে যায়। প্রখ্যাত লেখিকা সুসান সনটাগ বলেছিলেন, “একটি ছবি কেবল দৃশ্য নয়, সেটি একটি ব্যাখ্যা।”
দুর্যোগের সময় শোক ও সহানুভূতির পাশাপাশি রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতিও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা যেন কখনওই প্রচারের ইন্ধন না হয়। ছবি যেন বাস্তবকে আড়াল না করে, সেটাই আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
