আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের আগেই পাত্রের পরিবারকে জানানো হয়েছিল, পাত্রীর এক কুঅভ্যাসের কথা। সেটা কী? পাত্রী দীর্ঘক্ষণ স্নানঘরে কাটান। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে তিনি স্নান করেন। যদিও পাত্রীর এই অভ্যাস ঘিরে বিয়ের আগে কোনও আপত্তি তোলেনি পাত্রপক্ষ। কিন্তু বিয়ের পরেই ঘটল সর্বনাশ। স্নানঘরে পাত্রী কী করেন, দেখতে গিয়েই চোখ ছানাবড়া শাশুড়ির।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার হায়াতনগর এলাকায়। মাত্র সাত মাস আগেই বিয়ে হয় দম্পতির। বিয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। হঠাৎ একদিন কাজের জন্য একসঙ্গে বাড়ির বাইরে বের হন যুবক, তাঁর বাবা, মা। তখন বাড়িতে একা ছিলেন তাঁর স্ত্রী। সে সময় স্নান করতে ঢুকেছিলেন। বাড়ি ফিরে শাশুড়ি দেখেন, তখনও স্নানঘরে জল পড়ার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে তাঁর মনে হয়েছিল, বধূ এখনও স্নান করছেন। আরও কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর তাঁর সন্দেহ হয়। স্নানঘরের দরজা হালকা খুলে উঁকি দিতে যান। তখনই দেখেন স্নানঘরে আসলে কেউ নেই। আশেপাশে বধূকেও খুঁজেও দেখতে পাননি। তখনই নজরে পড়ে আলমারির লকার খোলা।
যুবকের মা জানিয়েছেন, আলমারি থেকে সোনার গয়না, নগদ টাকা সব গায়েব হয়ে যায়। পুলিশের কাছে বধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এও জানিয়েছেন, নগদ তিন লক্ষ টাকা এবং কয়েক লক্ষ টাকার গয়না নিয়ে বধূ চম্পট দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
