আজকাল ওয়েবডেস্ক: মানুষের ভাষায় কথা বলা টিয়াপাখি তো দেখেছেন। কিন্তু অবিকল মানুষের মতো কথা বলা কাকের কথা শুনেছেন কি? বাস্তবে যা ঘটতেই চোখ ছানাবড়া স্থানীয়দের। এমনকী কাকের কাণ্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই, নেটিজেনরাও অবাক। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের পালগড়ের বাসিন্দা মঙ্গল্য ১৫ দিনের কাকের বাচ্চাটি আহত অবস্থায় একটি গাছের তলায় দেখতে পেয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কুড়িয়ে বাড়িতে এনে সেবাশুশ্রূষা করে। দিন কয়েকের মধ্যেই সে সেরে ওঠে। বছরের পর বছর ওই বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে বসবাস করতে করতে তাঁদের মুখের ভাষাও শিখে যায়। 

 

মঙ্গল্য জানিয়েছে, মারাঠি ভাষায় 'মা', 'বাবা', 'কেমন আছো?', 'বাড়িতে কেন এসেছ?', 'কী কাজ করছো?' এইধরনের কথা কাকটি বলতে পারে। তিন বছর তার বয়স। সকাল হলেই আশেপাশের অন্যান্য কাকদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করে। পাশের জঙ্গলেও যায়। কিন্তু সন্ধের আগেই বাড়ি ফিরে আসে। খানিকটা দূরে গেলেও ঘরের পথ সে ভোলে না। 

 

স্থানীয়রা ওই বাড়িতে এসে, তাঁদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করে কাকটি। যা দেখে অবাক হয়ে যান সকলে। মঙ্গল্য জানিয়েছে, কাকটিকে স্রেফ পোষ্য ভাবে না তারা। সে বর্তমানে ওই পরিবারের সদস্য হয়ে গেছে। সকলের কাঁধে বসে ঘুরে বেড়ায়। মারাঠি ভাষায় কথা বলা কাকের ভিডিও হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।