আজকাল ওয়েবডেস্ক: দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। কর্ণাটকে ৪০ জনের দেহে নতুন করে করোনার ভাইরাসের দেখা মিলেছে। এরফলে এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা হল ১২৬। প্রতিদিনের পজিটিভ রেট হয়েছে ১০.১২ শতাংশ। কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে কোভিড ১৯-এর নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে এনবি ১.৮.১ নামে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। যদিও এর ক্ষতির হার অনেকটা কম। তবে প্রথম থেকে শক্ত হাতেই কাজ করতে চাইছেন চিকিৎসকরা। তারা মনে করছেন যদি প্রথম থেকে তারা সঠিকভাবে একে ধরতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে তারা বেশি সমস্যায় পড়বেন না।


ছত্তিশগড়ে অনেকটাই নিজের থাবা বসিয়েছে করোনা। সেখানে ফিরোজাবাদে এক ৪০ বছরের ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। ফলে এখানে করোনায় এটি প্রথম মৃত্যুর ঘটনা বলে সামনে এল। রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লুধিয়ানা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তাতেও বাঁচানো যায়নি। হাসপাতাল সূত্রে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। তার দেহে জেএন ওয়ানের ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে।


প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস ঘিরে আবারও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে দেশে। নতুন করে করোনায় আক্রান্তদের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিহারে ৭ জনের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পটনার এইমসের এক ডাক্তার-নার্স সহ ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সমস্ত রোগীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। 


গত এক সপ্তাহে দেশে কোভিড-১৯-এর ৭৫২টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে, যার ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। কেরল, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লির মতো রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। 


উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নয়ডায় করোনার ১৯ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। যার মধ্যে ১১ জন মহিলা এবং ৮ জন পুরুষ। সমস্ত রোগীর মৃদু উপসর্গ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কারও শারীরিক অবস্থাই গুরুতর নয়। 


করোনা সংক্রমণ এড়াতে সকলকে মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা ঘিরে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে প্রশাসন।