আজকাল ওয়েবডেস্ক: নয় মাস পরে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের আগেই নাসা-র মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামসকে চিঠি লিখেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ১ মার্চ তারিখে পাঠানো সেই চিঠি নিজের এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই চিঠি প্রসঙ্গে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কেরল কংগ্রেস। একাধিক সংবাদপত্রের শিরোনাম উল্লেখ করে দলের তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ''মোদির লেখা চিঠি সম্ভবত আবর্জনায় ফেলে দেবেন সুনীতা উইলিয়ামস।''

কংগ্রেসের অভিযোগ, ২০০৭ এবং ২০১৩ সালে গুজরাতে নিজের পৈতৃক বাড়িতে যখন গিয়েছিলেন তখন সুনীতাকে পাত্তা দেননি রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদি। কেরল কংগ্রেসের তরফে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, ''কারণ, তিনি হরেন পাণ্ড্যর তুতো বোন। হরেন ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বিচারপতি ভি আর কৃষ্ণাইয়েরের কাছে ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় মোদির ভূমিকা সম্পর্কে গোপন জবানবন্দি দিয়েছিলেন। যার পরেই প্রাতর্ভ্রমণ করতে গিয়ে খুন হতে হয়েছিল হরেনকে। তাঁর মৃত্যুর পর বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল যার সমাপ্তি ঘটেছিল বিচারপতি লোয়া-র হত্যার পর।''

?ref_src=twsrc%5Etfw">March 18, 2025

এরপর সুনীতার ২০১৩ সালের গুজরাত সফর নিয়ে আরও একটি প্রতিবেদন এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন এআইসিসি নেতা পবন খেরা। সেখানে লেখা হয়েছে। সে বার মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি সুনীতা। বরং হরেন পাণ্ড্যর স্ত্রী জাগৃতির সঙ্গেই সময় কাটিয়েছিলেন। পবন লিখেছেন, ''আজ মোদি যখন প্রধানমন্ত্রী তখন তাঁর রূপ যেন বদলে গিয়েছে। সুনীতা যে নজির গড়েছেন, তার জন্য সকল ভারতীয় গর্বিত। আজ তিনি এত বড় ব্যক্তিত্ব যে, মোদি চান বা না চান, তাঁকে সুনীতাকে স্বাগত জানিয়ে চিঠি লিখতে হচ্ছে।''

?ref_src=twsrc%5Etfw">March 19, 2025

আরএসএসের সঙ্গে গভীর সংযোগ ছিল হরেনের। কেশুভাই প্যাটেলের ক্যাবিনেটে মন্ত্রীর পদ সামলেছেন তিনি। ২০০১ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদী বসার পরেও মন্ত্রী ছিলেন তিনি। কেরল কংগ্রেসের পোস্ট করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৩ সালে আততীয়দের হাতে খুন হয়েছিলেন হরেন। তাঁর মৃত্যুর জন্য মোদিকেই দায়ী করেছিলেন হরেনের বাবা বিঠ্ঠলভাই পাণ্ড্য।

১ মার্চ সুনীতাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন মোদি। মার্চের শুরুতে প্রাক্তন মহাকাশচারী মাইক ম্যাসিমিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর। দু'জনের আলোচনায় সুনীতার কথা উঠে আসে। সেই সময় মাইককে একটি চিঠি দেন মোদি। সেখানে লিখেছেন, "আমরা আলোচনা করেছি যে আমরা আপনার এবং আপনার কাজের জন্য কতটা গর্বিত। এই আলাপচারিতার পর, আমি আপনাকে চিঠি লেখা থেকে নিজেকে আটকাতে পারিনি। যদিও আপনি হাজার হাজার মাইল দূরে তবুও আপনি আমাদের হৃদয়ের কাছেই রয়েছেন।'' চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ''ফেরার পর ভারতে আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছি।''