আজকাল ওয়েবডেস্ক: গৌতম আদানি এবং আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালত অভিযোগ এনেছে সরকারকে ঘুষ দেওয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে ২,২৫০ কোটি টাকার ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদানি গ্রুপের সহযোগী সংস্থাগুলি এই ঘুষ-কাণ্ডের পর ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন বন্ড রদ করেছে। স্টক এক্সচেঞ্জকে একটি রেগুলেটরি ফাইলিংয়ে বিবৃতি দিয়েছে আদানি গ্রিন এনার্জি। এই সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস এবং ইউনাইটেড স্টেটস সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আদানি গ্রুপের  বোর্ড সদিস্য গৌতম আদানি এবং সাগর আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে, আর এই কারণে আদানি গ্রিন এনার্জির পক্ষ থেকে মার্কিন ডলার বন্ড ইস্যু করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। 


ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার সূচক অনুযায়ী গৌতম আদানি এখন বিশ্বের ধনকুবেরদের তালিকায় ১৮তম স্থানে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ২২৫০ কোটি টাকার ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। সকাল থেকে বিশ্বের অন্যতম ধনকুবেরকে নিয়ে এই চর্চার মাঝেই, মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা, সাংসদ রাহুল গান্ধী। রাহুলের দাবি, গ্রেপ্তার করা হোক গৌতম আদানিকে এবং তাঁর ‘প্রটেক্টর’ মাধবী পুরী বুচকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।

রাহুল বৃহস্পতিবার আদানি-ইস্যুতে বলেন, ‘এটি এখন স্পষ্ট এবং এককথায় আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত যে, আদানি আমেরিকার আইন এবং ভারতীয় আইন দুটোই লঙ্ঘন করেছেন। আমি এটা ভেবে অবাক হচ্ছি, এখনও এই দেশে তিনি কীকরে একজন মুক্ত মানুষ হিসেবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন?’ 

রাহুল আরও বলেবন, ‘আমরা বারবার এটা তুলে ধরেছি, আমরা মাধবী বুচ ইস্যু নিয়ে এটি উত্থাপন করেছি এবং আজকের এই ঘটনা, আমাদের এতদিন ধরে যা কিছু বলে আসছি তার প্রমাণ।  প্রধানমন্ত্রী গৌতম আদানিকে রক্ষা করছেন এবং তিনিও আদানির সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িত।‘