আজকাল ওয়েবডেস্ক: জ্বর-জ্বালা, কাশি, মাথাব্যথা, বাইরে খাবার খেয়ে পেটের সমস্যা, নানা কারণে নিত্য দিন কোনও না কোনও সমস্যা দেখা দেয় সাধারণের। সমস্যা দেখা দিলে পরিত্রাণ কী? ওষুধ। অথচ সেই ওষুধই নাকি নিম্নমানের! সমীক্ষার রিপোর্টে আঁতকে উঠছেন সাধারণ মানুষ।
সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সেন্ট্রাল ড্রাগ স্টান্ডার্টস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) একটি সমীক্ষার পর অতি সম্প্রতি জানিয়েছে, দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত একগুচ্ছ ওষুধ আদতে নিম্নমানের। এই ওষুধগুলি অবাধে বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে তাদের তরফে।
সমীক্ষা বলছে, অতি সম্প্রতি রোজকার জীবনে ব্যবহৃত ৫০টি ওষুধের উপর চালানো হয় পরীক্ষা। তাতে জানা গিয়েছে, জনপ্রিয় সংস্থার নামে বিক্রি হওয়া ওই ওষুধগুলির একাধিক ব্যাচের গুণগত মান খারাপ।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে সান ফার্মাসিউটিকলের তৈরি করা পালমোসিল-এর কথা। সিডিএসসিও’র সমীক্ষা বলছে, ওই ওষুধগুলির গুণগত মান খারাপ। যদিও ওই সংস্থা বলছে, এই তথ্য ভুয়ো এবং যে ওষুধগুলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে, সেগুলি জাল। ওই সংস্থার প্যান্টোসিডের মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ব্লাড প্রেসারের জন্য ব্যবহৃত টেলমা এইচ-এর নির্দিষ্ট ব্যাচের গুণগত মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। গ্লেনমার্ক সংস্থার তৈরি করে ওই ওষুধ । যদিও সংস্থার দাবি, ওই বিশেষ ব্যাচের ওষুধ সংস্থা তৈরি করেনি। অ্যাকেম হেলথ সায়েন্সের তৈরি করা অ্যামোক্সিসিলিনের একটি ব্যাচের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
যদিও সিডিএসসিও-র তরফে জানানো হয়েছে, কোনও একটি ওষুধের একটি ব্যাচের মান খারাপ, এর অর্থ এই নয়, ওই নামের সব ওষুধই খারাপ মানের।
