আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির মেহরৌলির সঞ্জয় বন এলাকায় ১৮ বছর বয়সি এক ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক অর্ষকৃত সিং (১৮) ওই ছাত্রীর পূর্বপরিচিত ছিলেন। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই খুনের কথা স্বীকার করেছে ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ছাত্রী জাহাঙ্গীরপুরির বাসিন্দা এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওপেন লার্নিংয়ে পড়াশোনা করতেন। গত ১ জুন রবিবার সকালে তিনি ক্লাসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর আর ফেরেননি। তবে দুপুর নাগাদ নিজের মা-কে একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন তিনি।  

সেখানে লেখা ছিল, তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরবেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁর কোনও খোঁজ না মেলায় পরিবার মেহরৌলি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। জানা গিয়েছে, সন্ধ্যার দিকে ওই তরুণীর মায়ের কাছে একটি ফোন আসে অভিযুক্ত অর্ষকৃতের বাবার তরফে। তিনি জানান, তাঁর ছেলে সঞ্জয় বন এলাকায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং বর্তমানে পিতমপুরার একটি হাসপাতালে ভর্তি। এরপর ছাত্রীটির পরিবার সঞ্জয় বনে গিয়ে খোঁজ করলেও কোনও সন্ধান মেলেনি ওই তরুণীর। পুলিশ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অর্ষকৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, জেরায় অর্ষকৃত জানায়, ইচ্ছাকৃতভাবে ওই পড়ুয়াকে সঞ্জয় বনে ডেকে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাত করে ও গলা টিপে হত্যা করে। পরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে মৃতদেহ পুড়িয়ে দিতে চায়। এই ঘটনায় হাতে চোট পাওয়ায় সে হাসপাতালে গিয়েছিল। ইতিমধ্যেই পুলিশ সঞ্জয় বন থেকে ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত অর্ষকৃত সিং দিল্লির রানীবাগ এলাকার বাসিন্দা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওপেন লার্নিংয়ে প্রথম বর্ষের বি.কম পড়ুয়া। এই খুন পূর্বপরিকল্পিত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃত ছাত্রীর পরিবার।